নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শাশুড়ি বউমার সম্পর্কের রসায়ন আর ছকভাঙ্গা সম্পর্ক ‘আয় তবে সহচরী’র মূল রসদ। বিয়ের প্রেক্ষাপটে শুটিংয়ের টানটান পর্ব দর্শকদের মন জয় করে করে দিয়েছে। চিরাচরিত যে সম্পর্ক আর কূটকচালি বাংলা সিরিয়ালের প্রতিটি মানুষ দেখে অভ্যস্ত ‘আয় তবে সহচরী’ ঠিক তার উল্টো গল্প বলে। সঙ্গে সমাজের উল্টো স্রোতে মানুষকে ভাসতে শেখায়। শুটিংয়ের ফাঁকে এই ধারাবাহিকের ‘সই’ অর্থাৎ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে কথা বললেন এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্য।
শুটিং কেমন চলছে?
টিপুর মা, বরফির বন্ধু তথা শাশুড়ি কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধারাবাহিকের ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন তাঁর জীবনের সহচরীর কথা। এদিনও টেলিফোনিক আড্ডায় তিনি সেই কথা জানান আবারও। সঙ্গে ভাগ করে নেন শুটিংয়ের গল্প। শুটিং কেমন চলছে তা জানতে চাওয়া হলে বরফির সই বলেন একেবারে মারকাটারি শুটিং চলছে এখন। বিয়েবাড়ি জমজমাট পর্ব দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকে। বধূবরণ না বন্ধুবরণ করবেন সহচরী। এই সম্পর্ক তো খুবই কম আমাদের সমাজে তাই এই সিরিয়াল থেকে দর্শক যে কিছু পাঠ পাবেন তা বলাই বাহুল্য।
কিন্ত পর্দার সহচরীর জীবনে আসল সহচরী কে?
উত্তরে কনীনিকা জানান, তাঁর জীবনের সহচরী তাঁর মা। আক্ষেপের সুরে জানান, ‘আসলে আমরা এখনও পুরুষশাসিত সমাজে থাকি। আমার মা একজন অনার্স গ্রাজুয়েট হয়েও সে সংসারে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন কখনও কিছু করেননি নিজের জন্য। আর যখন এই সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট আমি পড়ি তখন তা পড়ে আমার শুধু মায়ের কথাই মনে পড়েছিল। মনে হয়েছিল কখনও জানতে চাইনি মা তুমি কি হতে চেয়েছিল? তোমার জীবনের কী ইচ্ছা ছিল? মা গান গাইতে খুব ভালবাসতেন গান শেখার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু নানা কথায় সংসারের চাপে সেই ইচ্ছা তাঁর চাপা পড়ে গিয়েছে। এমন একজন সহচরী প্রত্যেকের বাড়িতেই আছেন।’ আসলে আমরা এগুলো নিয়ে কেউ ভাবিনা। আমরা বড় স্বার্থপর।
টিআরপি লিস্টের ওঠাপড়ার মধ্যে সিরিয়াল নিয়ে কতটা আশাবাদী কনীনিকা?
সেক্ষেত্রেও কনীনিকার একটাই বক্তব্য। টিআরপি যে এখন কীসে ওঠে আর কিসে নয় তা বোঝা দায়। আমি সেসব নিয়ে ভাবিনা। আমি চরিত্রে মন দিতে চাই। এবং চাই মানুষ যেন ‘পাখি’, ‘পরমেশ্বরী’-র মতই তাঁদের মনে রাখেন সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার অনেকগুলো বছর পরেও।