নিজস্ব প্রতিনিধি: টলিউডে একের পর এক শোকের ছায়া। চলতি বছর থেকেই একাধিক তারকার মৃত্যুর খবর একেবারে ছন্নছাড়া করে দিয়েছে বাংলা শিল্পমহলকে। এবার বাবা বেঁচে থাকতেই মেয়ের মৃত্যু হল, ৭৯ বছর বয়সে কন্যাহারা হলেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে। শোকে কাতর দে পরিবার। স্বামীর এই দুঃখের সময়ে তাঁকে আগলে রেখেছেন অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী দোলন রায়। বুধবার রাতে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দীপঙ্কর দে-র বড় মেয়ে বৈশালী কুরিয়াকোস।
স্বাভাবিকভাবেই জীবনের এই বয়সে কন্যা হারানোর মেনে নিতে পারছেন না বর্ষীয়ান তারকা। খবর অনুযায়ী, বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতার মেয়ে বৈশালী। তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু আর শেষরক্ষা হল না। বুধবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বৈশালী। অভিনেতার বড় জামাই অনিল কুরিয়াকোসও এই ইন্ডাস্ট্রির একজন সদস্য। মৃত্যুকালে বৈশালির বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দীপঙ্কর দে জানিয়েছেন, “গতকালের ঘটনা। বড়সড় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বৈশালীর। তাই আর শেষরক্ষা করা গেল না।”
বৃদ্ধ বয়সে চোখের সামনে মেয়েকে হারানো, সত্যিই এর চেয়ে দুঃখের আর কিছুই হতে পারেনা। কয়েক বছর আগেই ভালোবেসে অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেন দীপঙ্কর। প্রবীণ তারকার ভেতরেই নিজের মনের মানুষকে দেখতে পান দোলন। তাঁদের বিয়ে নিয়ে নেটপাড়ায় কম খিল্লি হয়নি, কিন্তু কোনটাতেই পাত্তা না দিয়ে জীবনের মূল স্রোতে এগিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বয়সের ব্যবধানে প্রায় ২৫ বছরের অধিক।কিন্তু তাঁদের কেমিস্ট্রি বরাবরই নজর কাড়ে ভক্তদের। মেয়েকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুবই ভেঙে পড়েছেন দীপঙ্কর দে।