এই মুহূর্তে




কী কাণ্ড! ২০ বছর ধরে নাকি দাঁত ব্রাশ করেননি পঙ্কজ ত্রিপাঠী, কিন্তু কেন?

নিজস্ব প্রতিনিধি: কী কাণ্ড! এত বড় অভিনেতা হয়েও নাকি ২০ বছর ধরে দাঁত ব্রাশ করেন নি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। কী শুনতে অবাক লাগছে? না এখনকার সময় নয়, তাঁর বয়স ২০ বছর পর্যন্ত তিনি টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেননি। নিমগাছের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেছেন। হ্যাঁ, মুম্বইতে এসেও শৈশবের জীবনযাত্রার অনেক বদল ঘটালেও নিম ডাল পেলে অভিনেতা কুড়িয়ে রেখে দেন, তা দিয়ে দাঁত মাজবেন বলে। আদতে বিহারের বাসিন্দা ‘মেট্রো ইন দিনো…’-র পঙ্কজ ত্রিপাঠী। তাঁর জন্মভিটে সেখানেই। ছোট থেকে ওখানেই মানুষ। শুধুমাত্র পেশাদারি খাতিরে মুম্বইয়ে থাকছেন। বর্তমানে বলিউডের অন্যতম দাপুটে অভিনেতা তিনি। তবুও নিজের সংস্কারকে ভোলেননি অভিনেতা। পঙ্কজ ত্রিপাঠী একজন বহুমুখী প্রতিভার উৎস। ভয়ঙ্কর গ্যাংস্টার থেকে শুরু করে স্নেহশীল, সরল মনের বাবা পর্যন্ত বিভিন্ন চরিত্রের বিস্তৃত পরিসরকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখে তিনি। অভিনেতা সম্প্রতি ‘মির্জাপুর: দ্য ফিল্ম’-এর সেটে এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় তার শৈশবের একটি স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। অত্যন্ত প্রতীক্ষিত ছবিটির শুটিং শুরু করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী।

অভিনেতার কথায়, ‘আমার জীবনের প্রায় ১৯ থেকে ২০ বছর ধরে, আমি কখনও টুথব্রাশ বা টুথপেস্ট ব্যবহার করিনি। দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমি কেবল একটি নিম ডাল বা পেয়ারা কাঠি ব্যবহার করেছি। কারণে আমাদের ছোট্ট গ্রামে কোনও টুথব্রাশ ব্যবহারের সুযোগ ছিল না।’ ‘মির্জাপুর: দ্য ফিল্ম’-এ কালিন ভাইয়ার ভূমিকায় পুনরায় অভিনয় করতে প্রস্তুত এই অভিনেতা। ‘মির্জাপুর: দ্য ফিল্ম’ মির্জাপুরের জগতের আরও গভীরে প্রবেশ করবে, যেখানে এর উগ্র গ্যাংস্টাররা তাদের আইকনিক চরিত্রগুলিকে একটি দুর্দান্ত, বৃহত্তর থিয়েটার অভিজ্ঞতায় চিত্রিত করতে ফিরে আসবে। এটি অ্যামাজন, এমজিএম স্টুডিও এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট দ্বারা সমর্থিত। ছবিটি পুনিত কৃষ্ণ দ্বারা নির্মিত এবং গুরমিত সিং দ্বারা পরিচালিত হবে। যাই হোক, মির্জাপুরের শুটিংয়ের শুরুতে অভিনেতার জন্মদিন সেলিব্রেশন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি কেক কখনও কাটিনি, কারণ কেক কাটতে আমি লজ্জা বোধ করি। যে গ্রামে আমি বড় হয়েছি, সেখানে আমার বয়স ১৯ বছর পর্যন্ত কোনও বাজার ছিল না। উপহার দেওয়া বা কেক কাটার কোনও ঐতিহ্য ছিল না, তাই লোকেরা কখনও আমার জন্মদিনকে বড় করে ভাবেনি। আজও, যখন আমি ছোট শহরগুলিতে ভ্রমণ করি, তখন আমি আমার কর্মীদের বলি যদি তারা নিমের ডাল দেখে তাহলে যেন আমার জন্য একটি করে নিয়ে আসে, কারণ এটি ব্যবহার করার মধ্যে এক অনন্য আনন্দ রয়েছে। এখন ভাবতে অবাক লাগে যে, আমি ২০ বছর ধরে টুথব্রাশ ছাড়াই বেঁচে ছিলাম। আমরা এমনকি টুথপেস্ট কী তা জানতাম না। তবুও, আমাদের দাঁত পুরোপুরি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর ছিল। সেই সময়, আমরা এমনকি আমাদের গ্রামে জন্মানো গাঁজা গাছের ডাল ব্যবহার করতাম, নদী থেকে ফিরে সকালে পাতা ছিঁড়ে সেগুলো দিয়ে টুথব্রাশ তৈরি করতাম। এবং যখন আমি এই যাত্রার কথা ভাবি, তখন আমি বুঝতে পারি, আমার মতো কেউ, যিনি এই ধরণের শুরু থেকে এসেছিলেন, যদি একজন অভিনেতা হতে পারেন, তাহলে সত্যিই সবকিছু সম্ভব।”

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি, প্রথমবার ধনকুবেরের তালিকায় শাহরুখ খান, কত টাকার মালিক?

বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি, ঘরে চণ্ডীপাঠে, পুজোতে কলকাতা ছেড়ে কোথায় গেলেন অপরাজিতা?

মৃত্যুর দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার জুবিনের ম্যানেজার ও নর্থ-ইস্ট আয়োজক, ঘটনার মোড় কোন দিকে?

নবমীতে সুখবর, দ্বিতীয়বার গর্ভবতী সোনম, ফের দাদু হতে চলেছেন অনিল কাপুর

বাদ পড়ল অবমাননাকর সংলাপ, বরুণ-জাহ্নবীর ছবির ৬০ শতাংশ ‘চুম্বন’ দৃশ্যে কাঁচি চালাল CBFC

রিয়েলটি শোয়ের মঞ্চই বিয়ের মণ্ডপ! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ‘বালিকা বধূ’ অভিনেত্রী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ