নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে প্রাক্তন NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। যদিও বর্তমানে তাঁর ভিত টাও হয়ে গিয়েছে নড়বড়ে। ২০২১ সালে বিলাসবহুল ক্রুজে অভিযান চালিয়ে মাদক দ্রব্য খাওয়ার অভিযোগে বাদশা পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিলেন কর্মরত NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। যদিও শাহরুখ পুত্রকে ২০ দিন জেল খাটিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেননি সমীর ওয়াংখেড়ে। এদিকে বিপুল আর্থিক তছরুপের দায়ে বছর কয়েক আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল।
পাশাপাশি গতবছরই তদন্তে নেমে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য আবিষ্কার করে সিবিআই। আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে নাকি শাহরুখের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এই নিয়ে মামলা চললেও জয়ী হন সমীর ওয়াংখেড়ে। উল্টে তিনি শাহরুখের সঙ্গে WhatsApp চ্যাটের একটি মিথ্যে স্ক্রিনশট আদালতে পেশ করেন। তবে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে, ওয়াংখেড়ে এই ঘটনাটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘ছোট ঘটনা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তার সঙ্গে নাকি তিনি একেবারেই পরিচিতই নন। তাই তার জীবনের কোনও কিছুর জন্য তিনি ‘কোনও অনুশোচনা নেই’ এবং তাঁকে তাঁর পদে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকারে সাক্ষাৎকারকারী শাহরুখের সঙ্গে WhatsApp চ্যাট প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “শাহরুখ খানকে তিনি কি কোনও সতর্কতা দিলেন?” ওয়াংখেড়ে তখন হিন্দিতে বলেন, “না, আমি ছোট মানুষ। কাউকে সতর্ক করার আমি কে? আপনি যে ব্যক্তির কথা বলছেন, এমনকি আমি খুব বেশি সিনেমা দেখি না, তাই তাঁর নাম জানি না।”
সাক্ষাৎকারী তখন পাল্টা জবাবে বলেন, “আপনি কি আমাকে বলছেন যে আপনি শাহরুখ খানের স্টারডম সম্পর্কে অবগত নন?” ওয়াংখেড়ে উত্তরে বলেন, “আপনি যদি আমাকে ‘প্রকৃত নায়ক’ যেমন মোদীজি বা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তবে আমি তা পছন্দ করব।” ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালীন, তার এবং শাহরুখের মধ্যে কথিত চ্যাটে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ লিখে ছিলেন, “আমি একজন বাবা হিসেবে আপনাকে অনুরোধ করছি,” অনুগ্রহ করে তাকে সেই জেলে থাকতে দেবেন না। তাহলে মানুষ হিসেবে সে ভেঙে পড়বে।” এই কথিত চ্যাটগুলি সম্পর্কে এদীইন ওয়াংখেড়ে বলেন, “আমি এই লোকটির বিষয়ে কথা বলতে চাই না। জীবনে আমার কোনও অনুশোচনা নেই, প্রথমত, এবং যদি সুযোগ দেওয়া হয়, আমি আবার এই কাজ করব।” আরিয়ান খান কেস থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরপরই এনসিবি-তে ওয়াংখেড়ের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আরিয়ানকে ২০২২ সালে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল।