নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এবার বিতর্কে জড়ালেন সংগীত শিল্পী অনন্যা চক্রবর্তী(Ananya Chakraborty)। সম্প্রতি মুম্বইতে হৃতিক রোশন(Hritik Roshan) অভিনীত ছবি ‘বিক্রম ভেদা’র ‘অ্যালকোহলিয়া’ গানের কিছু অংশ গেয়েছেন অনন্যা চক্রবর্তী। ছবিতে মূল গায়ক স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক(Snigdhajit Bhowmik)। কিন্তু তাঁর অভিযোগ মুম্বইয়ের নামী প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে গান গাওয়ার পরেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের পক্ষ থেকে কোনও শুভেচ্ছা বার্তা পাননি তিনি। অনন্যার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনন্যার সমালোচনা করে গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত(Mekhla Dasgupta) প্রশ্ন করেছেন “এত ঢাক পেটানোর কী আছে”?
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সারেগামাপা ২০২১ সিজনের প্রতিযোগী অনন্যা লিখেছেন, “জানেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অংশ হওয়ার সবচেয়ে বড় হতাশা কী? জয় সরকার ও মধুবন্তী বাগচীদি ছাড়া আর কোনও ‘সিনিয়র’ আমাকে ও স্নিগ্ধদাকে শুভেচ্ছা জানায়নি। এত বছর পর কলকাতা থেকে দুটো ছেলে মেয়ে এত বড় প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করল, হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ বা কল করে ‘খুব ভাল গেয়েছিস’ কেউ বলেনি। আর সারা জীবন আমরা তাঁদের অনুসরণ করেছি, অনুপ্রেরণা পেয়েছি।” অনন্যা আরও লিখেছেন, “তাঁদের কিচ্ছু যায় আসে না। আমি জানি আমি ও স্নিগ্ধজিৎ বলিউডে আরও অনেক বড় বড় মানুষদের প্লেব্যাক করব। যারা শুনেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ”।
গায়িকা অনন্যার এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরেই তাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন সারেগামাপা ২০১৬ সিজনের প্রতিযোগী মেখলা দাশগুপ্ত। এমনকি তিনি নিজে অনন্যাকে ফোন করেছিলেন বলেও মনে করিয়ে দেন। মেখলা লিখেছেন, “এই যে সেদিন সকাল সকাল এত খুশি হয়ে ফোন করে জানালাম, সেটা ভুলেও গেলি? তোর মতে সিনিয়র নই? নাকি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কেউ নই? আমরা স্কুল-কলেজে এক ক্লাস ওপরের দাদা দিদিকেও সিনয়র ভাবতাম”। তিনি আরও লেখেন, “কে শুভেচ্ছা জানাল, কে জানাল নাম এত হিসেব রাখতে গেলে তো আসল কাজটাই মাটি হয়ে যাবে। ইন্ডাস্ট্রিতে আসা ইস্তক তোমায় সবাই ধন্য ধন্য করবে। সবাই লাইন দিয়ে কাজে ডাকবে, কেউ ইগনোর করবে না, কেউ হিংসে করবে না, কেউ বাঁশ দেবে না, এটা তো ভাবাই উচিত না”। উল্লেখ্য তাঁর পোস্ট ঘিরে মেঘলা দাশগুপ্ত মুখ খোলার পরেই নিজের সোশ্যাল একাউন্ট থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন অনন্যা।