নিজস্ব প্রতিনিধি: এখনও ভয় কাটছে না মুম্বই টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুরা নায়েকের। ইজরায়েল-হামাস আতঙ্ক মুম্বই বসেই টের পাচ্ছেন অভিনেত্রী। সে দেশে ইতিমধ্যেই রণক্ষেত্র চলছে। ফিলি হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণে নিহত ৭০০ জন এবং আহত ২৬০০ জন। এই অবস্থায় ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে বহু দেশ। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সোমবার রাতে একটি ভিডিওর মাধ্যমে অভিনেত্রী মধুরা নায়েক জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে খুন হয়েছেন তাঁর বোন এবং ভগ্নিপতি। সন্তানদের হাতেই নিহত হয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে দেশে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী।
মুম্বইতে অভিনয় করলেও তিনি আদতে ইহুদি। সেই কারণেই অভিনেত্রীর বোন এবং ভগ্নিপতিকে খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়! ইজরায়েলে তাঁর পরিবারও উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আটকে আছে। অভিনেত্রী মধুরা নায়েক টিভি শো যেমন নাগিন, কসৌটি জিন্দেগি কে এবং উত্তরনের মতো একাধিক সুপারহিট ধারাবাহিকে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মধুরা নায়েক জানিয়েছেন, তাঁর মা একজন ইসরায়েলি এবং বাবা একজন হিন্দু। তাঁর বোন ও ভগ্নিপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেখানে আরও ৩০০ জন তাঁদের বাড়ির সদস্য ইজরায়েলে আটকে আছে। মাত্র ২৪ ঘন্টা পরে বোন ও ভগ্নিপতির মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে গাড়িতে থাকা সন্তানদের ডিউটিরত অফিসাররা ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর দিদা ইহুদি।
অভিনেত্রীর কথায়, “দুর্ভাগ্যবশত ইজরায়েলে পরিস্থিতি সবসময়ই এরকম ছিল, আমরা সবসময় এই ধরনের অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। আমি অনুভব করেছি যে, আমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এটি সম্পর্কে কথা বলা প্রয়োজন। আমি নিরাপত্তার কারণে আমি এখন কোথায় আছি তা প্রকাশ করতে পারছি না, কোন সদস্যরা ইজরায়েলে আটকে আছে তাও আমি আপনাকে বলতে পারব না। আমার পোস্টের পরে আমি অনেক সাম্প্রদায়িক ঘৃণা পেয়েছি, এবং এটা মর্মাহত যে লোকেরা সহানুভূতি দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা, মুম্বাইতে যা ঘটেছিল, 26/11 এর মতোই। বিশ্বের সমস্ত অংশে সমস্ত ইহুদিদের নিরাপদে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে ভারতে অত্যন্ত নিরাপদ বোধ করি, কর্তৃপক্ষ আমাদের খুব সমর্থন করে। যদি এমন কোনও পরিস্থিতি ঘটে, আমি জানি আমি করব। তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আমার কাছে ইহুদি এবং হিন্দু উভয় ধর্মই সেরা। আমি শুধু সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।”