নিজস্ব প্রতিবেদনঃতাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ আপামর বাংলা ছবির দর্শক। প্রথমের দিকে তাঁকে কমেডি চরিত্রে দেখতে পেলেও পরবর্তীকালে হারবার্টের মত ছবিতে তাঁকে এক অন্যভাবে আবিস্কার করেন দর্শক। এরপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। কিন্তু বাংলা ছবির দর্শক তাঁকে ভালবেসেছেন আরও বেশি করে। আসন্ন পুজোয় মুক্তি পাবে তাঁর নতুন ছবি হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী। ছবির প্রচারের মাঝেই এই মুহূর্তে-র প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর নস্টালজিয়া ভাগ করলেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
আগে পুজোতে কলকাতাতেই থাকতাম কিন্তু এখন শান্তিনিকেতনে আমার একটা ডেরা আছে সেখানে যাই, পুজোর কয়েকটা দিন সেখানেই থাকি আবার কলকাতায় বাকি পুজোটা কাটাই। শান্তিনিকেতন আমাদের পছন্দের। শান্তির পরিবেশ। দৈনন্দিন জীবন থেকে অনেকটা দূরে শান্তিনিকেতনে গিয়েই কাটে বেশ কয়েকবছর ধরে আমার পুজো। শুধু আমি নই আমরা দুজনেই যাই শান্তিনিকেতনে সময় কাটাতে। আমার স্ত্রী ঈশিতাও ভীষণ পছন্দ করে যেতে। মোট কথা আমার দুই আস্তানাকেই পুজোয় সময় দিই। প্রতিদিন জীবনে যা চলে তার থেকে একটু আলাদাভাবে এই পুজোর কটা দিন সময় কাটাই আমরা। এবারেও সেই ইচ্ছা আছে। বাকিটা পরিস্থিতির ওপর।
আমার স্ত্রী ঈশিতা দারুণ রান্না করে, সারা বছরই আমার বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার একটা পর্ব থাকে। আমার বাড়িতে খাওয়াদাওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। তাই পুজোয় আলাদা করে খাওয়ার আকর্ষণ যদিও থাকে না তবে স্ত্রীর হাতের বিশেষ রান্না নিয়ে আকর্ষণ থাকছেই। পুজোর শপিং বলতে তেমন কিছু এখন আর নেই। আলাদা করে কেনাকাটা কিছু করিনা তবে পুজোর উপহার দিতে বরাবরই ভালো লাগে। ছোটদের পুজোর উপহার দিই। নিজের জন্য আলাদা করে আর সেভাবে কেনাকাটা করিনা। আসলে আনন্দটা থাকেই কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তো পুজোর উন্মাদনা কমে আসে আমার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়। আর ভিড় এড়িয়ে চলতেই এখন ভালো লাগে।
এখন পুরোনো পুজো থেকে যেটা মিস করি সেটা হল প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা। সারা রাত জাগা। এগুলো এখন আর হয়না তাই এগুলো মিস করি। তবে অন্যদিকে একটা পুজোর প্রাপ্তি আমার বাড়িতে একটা আড্ডা ঘর আছে। সেখানে পুজোয় বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আড্ডা দিই। অনেক সময় আমার স্ত্রীর সঙ্গে সেখানে আড্ডা চলে। এভাবেই কেটে যায় পুজোর দিন গুলো।