নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত অভিনেতা সলমন খানের এই মামলা যোধপুর হাইকোর্টে স্থানান্তরের আবেদন মঞ্জুর করল রাজস্থান হাইকোর্ট। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন অভিনেতা।। তিনি ছাড়াও ওই মামলায় নাম জড়ায় তাঁর সহ অভিনেতা সোনালী বেন্দ্রে, নীলম, সইফ আলি খান, তব্বুর।
বন্যপ্রানী সুরক্ষা আইনের ৫১ নং ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সলমন খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুসারে রুজু হয় ৯/৫১ ধারায় মামলা। তবে সলমনের সহ অভিনেতারা ছাড়া পেলেও নিস্তার পাননি সলমন। ২০০৭ সালে রাজস্থান হাইকোর্ট সলমনকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেয়। তবে এক সপ্তাহ কারাবন্দি থাকার পর তাতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
শুটিংয়ের সময় একটি জিপসি গাড়িতে জঙ্গলে ঘোরার সময় গুলি করে শিকার করেন কৃষ্ণসার হরিণটি। ওই একই গাড়িতে ছিলেন সলমনের সেই ছবির অন্যান্য সহকর্মীরাও। গুলির আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করলেও তাঁদের নাগাল পাননা তাঁরা। এরপর সলমন খানের বিরুদ্ধে রুজু হয় অস্ত্র আইন ও বিরল এই হরিণ হত্যার মামলা। এরপর পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজাও দেওয়া হয় অভিনেতাকে। ২০১৮ সালে ৫০০০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর। এর পর করোনাকালে নানা অছিলায় কোর্টে হাজিরা দেওয়া রীতিমত এড়িয়ে গিয়েছিলেন ভাইজান। বলে রাখা ভালো ২০১৮ সাল থেকে মোত ১৭ বার আদালতে শুনানির দিন হাজিরা দেননি সল্লু।