নিজস্ব প্রতিনিধি: পশুপ্রেম এবং বলিউড একে ওপরের পরিপূরক। বলিউডের বহু তারকাকে বিভিন্ন সময়ে যেমন পশুহত্যা নিয়ে রুখে দাঁড়াতে দেখা যায়, তেমনি পশুদের জন্যে নানারকম কাজ করতেও দেখা যায়। বলিউডের মোস্ট পাওয়ারফুল দম্পতি বিরাট-অনুষ্কা বছর কয়েক আগেই রাস্তার কুকুরদের নিয়ে কয়েকটি আশ্রমও বানিয়েছেন। যেখানে পথ কুকুরদের চিকিৎসা, এবং তাদের যত্ন করা হয়। এছাড়া টিপ টিপ বরষা কুইন রবিনা ট্যান্ডন মাঝে মধ্যেই পশুদের ওপর ঘটে যাওয়া নানারকম বিপত্তি নিয়ে নেটপাড়ায় সরব হন।
কিছুদিন আগেই একটি গভীর জঙ্গল থেকে গন্ডারের হঠাৎই বেরিয়ে পড়া এবং লরিতে ধাক্কা লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে ওই বন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে চরম প্রতিবাদ করেছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি রবিনা ট্যান্ডন ফের সরব হলেন নেটপাড়ায়। যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তিনি, সেখানে দেখা গিয়েছে কিছু দুর্বৃত্ত মানুষ বাঘের গুহায় এলোপাথাড়ি পাথর ছুঁড়ছে, কোনো কারণ ছাড়াই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিহার জাতীয় উদ্যানের কর্তৃপক্ষরা তদন্ত শুরু করে। পার্কটি ভোপালের আপার লেকের তীরে অবস্থিত। নায়িকা দাবি করলেন যে, “বন বিহার, ভোপাল। মধ্যপ্রদেশ পর্যটকরা (রাফিয়ান) বন্ধ অবস্থাতেই বাঘের দিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছে। যেটি কিনা গুরুতর অপরাধ। ভিডিওতে স্পষ্ট, ওই দুর্বৃত্ত মানুষ চিৎকার, হাসতে হাসতেই বাঘকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করছে। বাঘের নিরাপত্তা কোথায়!” টুইটের উত্তরে, পার্ক ব্যবস্থাপকরা বলেছেন যে, তাঁরা ইতিমধ্যেই ঘটনাটি তদন্ত শুরু করছে। এই ধরনের কাজ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে, অবিলম্বে অপরাধীদের শাস্তি হবে।
পার্কের ডিরেক্টর পদ্মা প্রিয়া বালাকৃষ্ণান পিটিআইকে বলেছেন যে, ট্যান্ডনের শেয়ার করা ভিডিওটিতে কাউকে প্রকৃতপক্ষে পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়নি, তবে কাউকে পেছন থেকে চিৎকার করতে শোনা গিয়েছিল, কেন পাথর ছুঁড়ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়? ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দু’জন লোক খারাপ আচরণ করছিল, চিৎকার করছিল এবং সাইকেলের ঘণ্টা বাজছিল। আমরা পার্কের গেটে তাঁদের ছবি রেখেছি এবং তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে পার্ক জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে৷”