নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে সলমন খান ও হানি সিং-এর জীবন গ্যাংস্টারদের খপ্পরে। সলমন খানের পর এবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে জনপ্রিয় র্যাপার হানি সিং। ইতিমধ্যেই পুলিশী নিরাপত্তা য় রয়েছেন হানি সিং। গায়কের বয়াণ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী গোল্ডি ব্রার তাঁকে ফোন করে মৃত্যু হুমকি দিয়েছে এবং ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে। গোল্ডি ব্রার, যিনি প্রয়াত পাঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করে কানাডায় লুকিয়ে রয়েছেন। সেখান থেকেই গোল্ডি ফোনের মাধ্যমে তাঁর ম্যানেজারকে ফোন করেছেন বলে হানি জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই হানির কল রেকর্ড গুলি পুলিশের তদন্তাধীন। এদিকে দিল্লি পুলিশ সোমবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে একটি প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে। এবং তাঁরা জানিয়েছে, বিষ্ণোইকে পাঞ্জাব থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হবে এবং তাঁকে আদালতে পেশ করবে পাঞ্জাব পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলে লরেন্স বিষ্ণোইকে রাখা হবে এবং আদালতের সম্মতি অনুযায়ী গ্যাংস্টারকে হানি সিংয়ের চলমান মৃত্যুর হুমকির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পাঞ্জাবি এবং বলিউড গায়ক ইয়ো ইয়ো হানি গত সপ্তাহে ভয়েস নোট এবং কলের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে র্যাপার হানি সিং দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে দেখা করে দিল্লি পুলিশের কাছে হুমকিমূলক অডিও হস্তান্তর করেন। এরপর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে হানির অডিও গুলি হস্তান্তর করা হয়। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, গায়ক বলেছিলেন, “আমি যখন আমেরিকায় ছিলাম তখন আমার ম্যানেজার হুমকি কল পান যাতে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। আমি পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আমার জীবনে প্রথমবার এরকম হুমকির সম্মুখীন। যাতে আমি খুবই ভীত। আমরা কিছু ভয়েস নোটও পেয়েছি।” গত বছর সিধু মুস ওয়ালা হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন গোল্ডি। কিন্তু সে এখনও পুলিশের কাছে অধরা।