এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিপুল ঋণে ডুবেছিলেন, কিন্তু কারোর সাহায্য নেননি ‘তারক মেহতা’-র সোধি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খ্যাত ‘সোধি’ ওরফে গুরুচরণ সিং গত ২২ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করছেন। জনপ্রিয় সিটকম সিরিয়াল ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’-ধারাবাহিকে প্রায় ৮ বছর কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু মাঝে প্রযোজকের সঙ্গে বিবাদ হওয়ার জেরে শো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন গুরুচরণ। তারপর আবারও ২০২০ সালে শোয়ে ঢোকেন তিনি। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে সিরিয়াল থেকে আবারও বেরিয়ে যান তিনি। তাঁর নিখোঁজের পর থেকেই গুরুচরণকে নিয়ে অনেক তত্ত্ব উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল তাঁর দিল্লি থেকে মুম্বই ফেরার কথা ছিল। তিনি দিল্লির একটি ATM-থেকে ৭,০০০ টাকাও তুলেছিলেন।

তাঁর শীঘ্রই বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু মারাত্মক আর্থিক দুর্দশায় ভুগ ছিলেন গুরুচরণ সিং। তিনি ডিপ্রেশনে ছিলেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু অভিনেতার সহকর্মী রাই বলছেন যে, তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কারণ সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই তাঁর, বিশ্বাসই করতে পারছেন না। গুরুচরণ একজন প্রাণবন্ত ব্যক্তি ছিলেন। গুরুচরণের এই প্রাণবন্ত আচরণের আভাস তাঁর একটি পুরনো সাক্ষাৎকারেও দেখতে পাওয়া যায়। তাঁকে ঘিরে ছিল অনেক কষ্ট, কিন্তু তিনি কখনও সাহস হারাননি। কিংবা কখনও নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবেননি। তিনি সবসময় লড়াইয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য একটাই, বিপদের মুখে এগিয়ে যাওয়া।

একটি সাক্ষাৎকারে, গুরুচরণ তার কর্মজীবনের সংগ্রাম থেকে শুরু করে তার তপ্ত দিনগুলির কথাও উল্লেখ করেছিলেন। গুরুচরণ বলেছেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ যে আমার জীবনে যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, আমি কখনই অনুভব করিনি যে ঈশ্বর আমার প্রতি সদয় ছিলেন না। ঈশ্বর আমাকে সাহস দিয়েছেন। একটা সময় পরিস্থিতি অভ্যন্তরীণ খারাপ হয়েছিল। টাকা-পয়সা ছিল না এবং ধীরে ধীরে ঋণ বাড়ছিল। কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, ভেবে উঠতে পারছিলাম না। আমাদের একটি প্লট ছিল যার উপর একটি মামলা চলছিল। সেই কারণেই ঋণের বোঝা বাড়ছিল। তাই আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু বিক্রি করতে যেতাম। সবাই তার সুযোগ নিত। এখন দেখুন ঈশ্বর কিভাবে সাহায্য করছেন। তখন অবস্থা এমন ছিল যে, আপনি মন থেকে তাদের টাকা ফেরত দিতে চাইতেন কিন্তু আপনার কাছে টাকা ছিল না।”

গুরুচরণ আরও বললেন- কিন্তু একটা কথা ছিল। একদিন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বললাম, গুরু, যাই ঘটুক না কেন আমি আত্মহত্যা করব না। যাই হোক আমি মরবো না। আপনি যদি আপনার জীবন দিয়ে থাকেন তবে সবকিছু বদলে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে, আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তিনি হয়তো মরে যেতে। তার পরে কাছের একজন দোকানদার আমার কাছে এসে বললেন, ওহে সর্দারজি, একজন লোক আপনাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছে। আমি বললাম কে আমাকে খুজবে? তিনি আমাকে একটি নম্বর দিয়েছেন। আমি ফোন করলে সেখান থেকে একজন বলল, আমরা এত টাকায় আপনার প্লট কিনতে চাই, বলুন, এটা কি গ্রহণযোগ্য? আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি বললাম শুধু ঈশ্বরকে ডাকো এবং সে ঠিক সেই মুহূর্তে ডাক শুনল। আমরা ২৫ দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে গেলাম। এরপর গুরুদ্বারে ডেকে সমস্ত ঋণখেলাপিদের টাকা দিলাম।”

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ছোট পোশাকে মন্দিরে অঙ্কিতা লোখন্ডে, ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড়

হিন্দি ধারাবাহিকে ডেবিউ দেবচন্দ্রিমার, টেক্কা দেবেন নিয়াকে, জানালেন অভিজ্ঞতা

সাহারা’র মালিক সুব্রত রায়ের জীবনী এবার পর্দায়, আসছে ‘স্ক্যাম’ সিরিজের তৃতীয় সিজন

চোখে-মুখে বেদনার ছাপ, মাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মোনালি ঠাকুর

ব্রাহ্মণদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাইবার আক্রমণ মাম্মুটিকে

গাড়ি উল্টে নর্দমায়, মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ‘লিও’ অভিনেতার বাবা-মা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর