নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহা: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের জেরে দেশের প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ভোরিয়া গাফুরি গ্রেফতার হতেই বিপ্লবে ইতি টানলেন ইরানের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতে গলা না মিলিয়ে গোটা বিশ্বে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন আয়াতুল্লা আলি খামেইনির দেশের ফুটবলাররা। কিন্তু ওই ‘অপরাধের’ জন্য দেশে ফিরলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে আভাস পেয়েই শুক্রবার ওয়ালসের বিরুদ্ধে সুড়সুড় করে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন মেহেদি তারেমিরা।
গত সেপ্টেম্বরে হিজাব না পরার অপরাধে ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনিকে পিটিয়ে খুন করেছিল ইরান পুলিশ। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ফুঁসে ওঠেন ইরানের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেবরা। শুধু রাজধানী তেহরান নয়, দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে হিজাব বিরোধী আন্দোলন। ওই আন্দোলন দমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে আয়াতুল্লা আলি খামেইনির প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ছয় বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৪ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সোমবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন ইরানের ফুটবলাররা। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলাননি। ওই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়। সূত্রের খবর, দেশের জাতীয় দলের ফুটবলারদের তেহরান থেকে বার্তা পাঠানো হয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশাসন বিরোধী এই ভূমিকা বরদাস্ত করা হবে না। যদিও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ইরানের তারকা ফরোয়ার্ড মেহেদি তারামি।