আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একসময় কাঁধে থাকত যন্ত্রপাতির ব্যাগ। কাজ ছিল এর বাড়ি ওর বাড়ির বিদ্যুতে তার ঠিকঠাক করে দেওয়া। কড়া ঠাণ্ডায় মানুষ যখন ঘরে, সেই সময় তাঁর ডাক পড়ত। পেটের দায়ে সেই ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে তাদের বাড়ি যেতে হত। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে ফের বাড়ি ফেরা। কিন্তু প্রথম ভালোবাসা ফুটবলের সঙ্গে। স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীয় দলে খেলার। স্থানীয় ক্লাবে খেলার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অল্প বয়সেই কাজের সন্ধান করতে হয়। আজ সেই ইলেক্ট্রিশিয়ান সেনেগালের হিরো। কাতারের বিরুদ্ধে দলের তিন গোলে জয়ের পিছনে তারও অবদান রয়েছে। একটি গোল তাঁর।
ইলেক্ট্রিশিয়ান থেকে সেনেগালের হয়ে বিশ্বকাপে খেলছেন বউলায়ে দিয়া। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দিয়া জানিয়েছেন, তার ফেলে আসা দিনের কথা। দিয়া বলেন, ফুটবল ভালোবাসতাম। স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে যোগ দেওয়া। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা একসময় এতটাই খারাপ হয়ে যায়। মনে হয়েছিল জাতীয় দলের হয়ে কোনওদিন খেলতে পারব না। ছাড়তে হয়েছিল ফুটবল। পরিবারের কথা ভেবে অর্থ রোজগারের রাস্তায় হাঁটতে হয়। একসময় বাড়ি-বাড়ি খাবার ডেলিভারি করেছি। যে সংস্থায় কাজ করতেন সেই সংস্থার কর্তাই তাকে প্লাস্টিক ভালি এফসি ক্লাবের যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জাতীয় ক্লাব থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে। দিয়ার এটাই প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ।