আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এবার উদ্বোধনী ম্যাচের সাক্ষী রইল স্টেডিয়াম তৈরির কারিগরেরা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের লড়াই। খেলা ছিল আল বায়াত স্টেডিয়ামে। রাজধানী দোহা থেকে স্টেডিয়ামের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। সেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন কয়েকশো নির্মাণ শ্রমিক। এই নির্মাণ শ্রমিকদের খেলা দেখার জন্য নয়াপয়সা খরচ করা হয়নি। স্টেডিয়ামে যারা প্রবেশ করতে পারেনি বা যাদের পক্ষে স্টেডিয়ামে ঢুকে খেলা দেখা সম্ভব নয় বা যারা স্বেচ্ছায় স্টেডিয়ামে ঢুকতে চায়নি, তারা যাতে উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে পারেন, তার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি করা হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। সেই জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেন বহু নির্মাণ শ্রমিক।
উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে আল বায়াত স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ২৫ বছরের রোনাল্ড সেনইয়েন্ডো। খেলা দেখতে দেখতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছিল রোনাল্ড। জানিয়েছে, রক্ত আর ঘাম ঝড়িয়ে তৈরি করতে হয়েছিল স্টেডিয়াম। আর এখন সেই রক্ত আর ঘামের আস্বাদ পাচ্ছি। বুঝতে পারছি শ্রমের মূল্য। কল্পনাও করতে পারিনি যে স্টেডিয়াম তৈরি করতে রক্ত আর ঘাম ঝড়েছিল, সেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সুযোগ পাব। আমি অভিভূত।
২৫ বছরের এই তরুণ দুই বছর ধরে কাতারে রয়েছেন। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে স্টেডিয়াম নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবার রীতিমতো অর্থকষ্টে জর্জরিত। পরিবারের কথা ভেবেই দেশ ছেড়ে কাতারে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ তাঁর পরিবারও দেখেছে।
আরও পড়ুন তারকা ফুটবলারদের মুখোমুখি নির্মাণ শ্রমিকরা