নিজস্ব প্রতিনিধি: অপরাধ মূলক কাজের জন্য জেলে গিয়েছিলেন আমেরিকার ওকলাহোমার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের লরেন্স পল অ্যান্ডারসন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হাড়হিম করা ঘটনা ঘটালেন ওই ব্যক্তি। এক মহিলাকে খুন করে তাঁর হৃৎপিণ্ড কেটে নিয়ে সটান চলে যান আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সেই হৃৎপিণ্ড আলু দিয়ে রান্না করে আত্মীয়দের খাওয়ান। আর এখানেই শেষ নয়। মানুষের হৃৎপিণ্ড রান্না করে আত্মীয়দের খাওয়ানোর পর সেই আত্মীয়দের খুন করে ওই অভিযুক্ত। ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’-এর খবরে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।
‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় সম্প্রতি অভিযুক্ত লরেন্স আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। জেরায় লরেন্স তিনটি খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, একটি অপরাধের মামলায় জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছিল সে। জেল থেকে বেরিয়ে অ্যান্ড্রিয়া ব্ল্যাঙ্কেনশিপ নামে এক মহিলার বাড়িতে যান ওই যুবক। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে অ্যান্ড্রিয়াকে খুন করেন তিনি প্রথমে। তার পর তাঁর দেহটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে চিরে বুকের ভিতর থেকে হৃৎপিণ্ড কেটে নেন। এরপর মহিলার সেই হৃৎপিণ্ডটি নিয়ে লরেন্স পল অ্যান্ডারসন চলে যান কাকার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁদের অজান্তেই সেটি কেটে রান্না করেন লরেন্স। আলু দিয়ে হৃৎপিণ্ড রান্না করে কাকা লিও পাই এবং তাঁর চার বছরের নাতনিকে সেই তরকারি খাওয়ান অভিযুক্ত। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে কাকা এবং চার বছরের শিশুকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। দুজনকে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।