আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলার প্রতিশোধে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডব্লিউ এইচও প্রধান বলেন, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে। সেখানে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, প্য়ালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮ জনই শিশু। গত রবিবার সেন্ট্রাল গাজার শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আলজাজিরার শরণার্থী শিবিরের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে কয়েক হাজার হাজার মানুষ। তাদের হন্য়ে হয়ে খুঁজে চলেছেন প্য়ালেস্তাইনের উদ্ধারকর্মী ও বেসামরিক বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের দ্বার প্রান্তে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, গজার ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। এছাড়া এখনও যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে টেড্রোস আধানম বলেন,গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ, মৃত ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরে গেছে। মর্গ উপচে পড়ছে। অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন। শুক্রবার প্য়ালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২০৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৯ হাজার ৫০০ জন।
নিহতদের মধ্যে ১১ হাজার ২০৫ জন গাজার এবং পশ্চিম তীরে ইজরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে আরও ১৮৩ জন। এছাড়া গাজায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ হাজার এবং পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।