নিজস্ব প্রতিনিধি : নজরদারি চালানো নিয়ে ভারত ও ৯২টি দেশের ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দিল আই ফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল। এবার আই ফোন হ্যাক করার জন্য ‘মার্সিনারি স্পাইওয়্যার’ ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এই ফোন নির্মাতা সংস্থা। সম্প্রতি প্রত্যেক ব্যবহারকারীর ফোনেই এই নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে। এর আগে আই ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
অ্যাপল সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আই ফোন ব্যবহারকারীদের এই মার্সিনারি স্পাইওয়্যার সম্পর্কে অবগত করিয়ে দিতেই এই নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই স্পাইওয়্যার থেকে কীভাবে ব্যবহারকারীরা রক্ষা পাবেন, সেই বিষয়টিও আইফোন নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। অ্যাপলের তরফে জানানো হয়েছে, মার্সিনারি স্পাইওয়্যারকে কিছু বিশেষ লোকেদের ফোনে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্পাইওয়্যার আর পাঁচটা স্পাইওয়্যারের থেকে অনেকটাই আলাদা। এই স্পাইওয়্যারটি অনেক বেশি জটিল। সাধারণত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য এই স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অ্যাপলের তরফে ব্যবহারকারীদের ইমেল ও আইমেসেজ করে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যবহারকারী অ্যাপলের ফোন খুললেই এই নোটিফিকেশনটি দেখতে পাবেন। পাশাপাশি স্পাইওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, সেই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে ব্যবহারকারীদের।
২০২১ সাল থেকে একাধিকবার স্পাইওয়্যারের হানা হয়েছিল আই ফোনে। সেইসময় পেগাসাস স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই স্পাইওয়্যারটি তৈরি করার পিছনে হাত ছিল ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-এর হাত ছিল। সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের বিরোধী দলের নেতা থেকে শুরু করে সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে পেগাসাসের বিরুদ্ধে। গোটা বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। বিরোধী দলের নেতারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তোলে। তবে সুপ্রিম কোর্ট ২৯ জন মামলাকারীর ফোনে কোনও স্পাইওয়্যারের হদিশ না পাওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।