আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে আগের থেকে অনেকটাই ভালো। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালতে কাজকর্ম আগের মতই শুরু হয়েছে। বহু সংস্থা, যারা অতিমারীকালে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ (বাড়ি থেকে কাজ) সংস্কৃতি চালু করেছিলেন, তারা তাদের কর্মীদের অফিসে ফেরাতে শুরু করেছেন। সেই সব সংস্থার মধ্যে রয়েছে অ্যাপেল। কিন্তু তাদের কর্মীরা আর অফিসে গিয়ে অফিসের কাজ করতে চাইছেন না। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের চূডা়ন্ত মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। সংস্থার ৭৬ শতাংশ কর্মী চাইছেন বাড়িতে থেকেই অফিসের কাজ করবেন। কর্তৃপক্ষ তাদের বাধ্য করলে প্রয়োজনে তাঁরা ইস্তফা দেবেন।
গত ২৩ মে অ্যাপেল সিইও টিম কুক একটি নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রতিদিন আসতে হবে না। সপ্তাহে মাত্র তিনদিন এলেই চলবে। কিন্তু কর্মীরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতে নারাজ। তিনদিন কেন, তিন ঘণ্টার জন্য তারা অফিসমুখো হবেন না।
সমীক্ষক সংস্থা ব্লাইন্ড ১৩ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল একটি সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষা করা হয়েছিল ৬৫২জনের ওপর। বিষয় বাড়ি থেকে অফিসের কাজ না অফিসে বসে অফিসের কাজ। সংখ্যাগরিষ্ঠ জানিয়েছে, অতিমারীর সময় টানা দু বছর বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে করতে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এখন আর সকালবেলা দৌড়াদৌড়ি করে অফিস যাওয়া আবার ফেরার সময় দৌড়াদৌড়ি করতে আর তাদের ভালো লাগছে না। তাই, তারা বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ করতে ইচ্ছুক। পাশাপাশি তারা এও বলেছে, কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসে আসতে বাধ্য করলে তারা গণইস্তফা দেবেন।
আরও পড়ুন চাকরি যাচ্ছে টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের