আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর্জেন্টিনা বললে প্রথমেই মাথায় আসে লিওনেল মেসির কথা। কিন্তু মেসির অর্থনীতির হাল বর্তমানে খুবই বেহাল। সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী অনিষ্ঠান ছিল। জয়লাভ করেছেন, কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী হ্যাভিয়ার মিলেই জয়ী হয়েছেন।
গতকাল অর্থাৎ, রবিবার আর্জেন্টিনায় দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে মিলেইর প্রতিপক্ষ ছিলেন বামপন্থী প্রার্থী সার্জিও মাসা। ভোট গণনার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গিয়েছে, মিলেই প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। মাসা পেয়েছেন প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট। যদিও অক্টোবরের প্রাথমিক রাউন্ডে হাভিয়েরের থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন মাসা। তবে রানঅফে মাসাকে হারিয়ে এগিয়ে যান হাভিয়ের। নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে আর্জেন্টিনার বর্তমান অর্থমন্ত্রী মাসা, মিলেইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আর্জেন্টিনার নিয়ম অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই মোট ভোটের ৪৫ শতাংশের বেশি পেতে হবে। বিজয়ীকে অবশ্যই দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীর চেয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে হবে।দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাসা ও মিলেইর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেওয়া হয়েছিল জরিপে। কিন্তু ভোটে মাসাকে খুব সহজেই হারিয়ে দিলেন মিলেই।
মিলেইকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে তুলনা করা হয়। নির্বাচনে জয়লাভ করায় মিলেইকে ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনাকে আবার মহান করবেন’ মিলেই।
মিলেই এমন একসময় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন, যখন দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সেখানে এহেন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন হাভিয়ের। আর জয়লাভও করলেন তিনি। মিলেই রাজনীতির ক্ষেত্রে একজন ‘বহিরাগত’ নেতা। তবু তাঁর ওপর ভরসা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার মানুষরা। আশা করা যায় তার রাজ্য়ভার গ্রহণে সমস্ত সংকট মিটবে আর্জেন্টিনার।