নিজস্ব প্রতিনিধি, মস্কো: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিন দিনের সফরে মস্কো পৌঁছলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। আজ সোমবার দুপুরে বেজিং থেকে বিশেষ বিমানে মস্কো পৌঁছন চিনা প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। চলতি সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি রুশ প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্তার সঙ্গেও দেখা করার কথা। শি-পুতন বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের ক্ষেত্রে দুজনের বৈঠক যথেষ্ট অর্থবহ বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।
সম্প্রতি তৃতীয়বার চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি চিনফিং। আর তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়াকে বেছে নেওয়ার পিছনে যথেষ্টই রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আগে চিন সফরে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরেই ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট। আর তার পরেই দেশে ফিরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধের যুদ্ধের ঢঙ্কা বাজিয়ে দিয়েছিলেন পুতিন।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলির হুমকি-চাপ উপেক্ষা করে বরাবরই পুতিনের দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিন। গোপনে মস্কোকে সামরিক অস্ত্র দিয়ে বেজিং সাহায্য করছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে পশ্চিমী রাষ্ট্রপ্রধান। রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে বেজিংকে হুমকিও দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যদিও তা গুরুত্বই দেয়নি বেজিং। পুরনো বন্ধু শি’কে মস্কোয় স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহ নিয়ে প্রতীক্ষার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে চিন মধ্যস্থতা করলে তিনি খুশি হবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।