আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রনের মারিওপুলে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কলেরা (Cholera)। পরিস্থিত সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট (President)ভ্লদোমির জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।
ইউক্রেন (Ukraine) সেনার সহকারি প্রধান ভাদিম স্কিবিট্সকি জানিয়েছেন, ‘মারিওপুলে মারাত্মক আকারে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা আমেরিকা ও তাদের মিত্রদেশের থেকে সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের একার পক্ষে কলেরার বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, মে মাস থেকেই মারিওপুলে কলেরা (Cholera) একটু একটু করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। যুদ্ধের ফলে সে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল তলানিতে ঠেকে গিয়েছে। ফলে, সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে সময় নেবে না। রিপোর্টের আরও দাবি, খেরসন অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে ওষুধ-সঙ্কট। মারিওপুলের মেয়রের উপদেষ্টার কথায়, কলেরা যে কোনও সময় মহামারির আকার ধারণ করতে পারে। তবে কতজন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানা যাচ্ছে না।
এদিকে, রাশিয়া (Russia) আরও এক বছর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা দফতর। খবর আল-জাজিরার। সে দেশের সামরিক গোয়েন্দা দফতরের উপপ্রধান ভাদিম স্কিবিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে লডা়ই চালিয়ে যেতে গেলে তাদের দরকার আরও সামরিক অস্ত্র। আমেরিকা (USA) এবং তাদের মিত্রশক্তি এই ব্যাপারে কতটা সাহায্য করে তার ওপর নির্ভর করছে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। এখনও পর্যন্ত জার্মানি (Germany) সব থেকে বেশি সামরিক অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে। আমেরিকাও ইউক্রেনকে সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে।