নিজস্ব প্রতিনিধি: কেউ তাঁকে চেনে আদনান হোকা নামে। কেউ বা চেনেন হারুন ইয়াহিয়া নামে। আবার কেউ তাঁকে চেনে সামি ওলকুন নামে। তবে এর কোনওটাই তাঁর আসল নাম নয়। আদনান ওকতারAdnan Okhtar) হচ্ছে তাঁর আসল নাম। এবার তিনিই এক লহমায় বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের নজরে পড়ে গেলেন নিজ দেশের এক আদালতের(Court) রায়ে, যে আদালত তাঁকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। ৬৬ বছরের এই ব্যক্তি তুরস্কের(Turkey) অতি বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের লেখক। টিভিতে নিজেকে মুসলিম মতাদর্শ প্রচারক হিসাবে তুলে ধরতেন তিনি। এ নাইন টিভি নামে তাঁর নিজস্ব একটি চ্যানেলও রয়েছে। তাতেই তিনি সৃষ্টিবাদ ও রক্ষণশীল মূল্যবোধের প্রচার চালাতেন। কিন্তু সেই পর্দার বাইরে তাঁর জীবন কাটত একের পর এক লাস্যময়ীকে নিয়ে। চড়া মেকআপ ও স্বল্পবসনা সুন্দরীদের সঙ্গে নেচেগেয়ে। বিছানায় শুয়ে দিন কাটত তাঁর। এবার তাঁকেই যেতে হচ্ছে জেলে।
আরও পড়ুন এক দেশ, এক চার্জিং পয়েন্ট, পদক্ষেপ মোদি সরকারের
২০২১ সালে মানে গত বছরে এই আদনান ওকতারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল এক বৃদ্ধকে যৌন নিপীড়ন করার। তার পাশাপাশি আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন, জালিয়াতি এবং রাজনৈতিক ও সামরিক গুপ্তচরবৃত্তিসহ কয়েকটি অপরাধের ওভিযোগ ছিল। সেই সব অভিযোগের জন্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তারপর আদালতে শুরু হয় মামলা। নিম্ন আদালত এই অপরাধীকে ১ হাজার ৭৫ বছরের সাজা দিয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতে সেই রায় বাতিল করা হয়। পুনঃবিচারে যৌন নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের জেরে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওকতারকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইস্তাম্বুল হাইকোর্ট। এছাড়া আরও ১০ জন সন্দেহভাজনকে আট হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ওই আদালত। আর সেই রায়ের জেরেই এখন বিশ্ববাসীর কাছে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন আদনান ওকতার।