নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভুয়ো জিপিএস সিগন্যালের মাধ্যমে ইরানের আকাশ থেকে কমপক্ষে ২০টি বিমান ফেরত পাঠানো হয়। বোয়িং ৭৭৭,৭৩৭, ৭৪৭ বিমানগুলিতে ভুয়ো জিপিএস সিগন্যাল পাঠানো হয়েছিল। ভূমি থেকে উৎপন্ন জিপিএস সিগন্যালের ম্যানিপুলেশন, বিমানের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেমকে অপ্রতিরোধ্য করে। ইরানের আকাশসীমায় এই ঘটনা ঘটায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বোয়িং ৭৭৭ কে এতটা দূরে ফেরত পাঠানো হয় যে ক্রু সদস্য এটিসিকে জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য হয়, ‘কটা বাজে এবং আমরা কোথায়?’ ফ্লাইট ডেটা ইন্টেলিজেন্স ক্রাউডসোর্সিং ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী অপস গ্রুপের মতে, সম্প্রতি জিপিএস স্পুফিং ইরানের আকাশসীমায় ইউএম৬৮৮ এয়ারওয়েতে ঘটেছে। ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ‘ইরাক-আজারবাইজান – জিপিএস জ্যামিং এবং স্পুফিং নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে মেমো জারি করেছে।
ইরানের এই আকাশসীমা দিয়ে ভারতের এআই, ইন্ডিগো ও ভিস্তারা সান ফ্রান্সিসকো, ইস্তাম্বুল, বাকু এবং লন্ডনে চলাচল করে। ফলে স্বভাবতই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভারতীয় একজন সিনিয়র কমান্ডার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা ইউএম৬৮৮ এয়ারওয়ে দিয়ে যাতায়াত করি না, কিন্তু আমরা ইরানের আকাশসীমা অতিক্রম করি। আমরা স্পুফিংয়ের অভিজ্ঞতা পাইনি, তবে গত সপ্তাহে একটি ফ্লাইটে আমাদের জিপিএস জ্যামিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
এই ভুয়ো সংকেতগুলি একটি জিপিএস রিসিভারকে অবস্থান এবং সময়ের ভুল তথ্য দেয়। এই ঘটনাটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটছে। বিশেষ করে যাত্রীবাহী বিমানগুলিতে এই ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ইউএম৬৮৮ একটি ব্যস্ত এয়ারওয়ে। যা পশ্চিম এশিয়াকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত করে। এই রুটে এই ঘটনাগুলি বিপজ্জনক।