আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় মাস পর গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধে অবশেষে চার দিনের যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হচ্ছে। আজ শুক্রবার মুক্তি পাবে উভয় পক্ষেরই বন্দিরা। প্রায় সাত সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধ বিরতি এসেছে গাজায়।
কাতারের বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয় এবং বন্দিদের প্রথম দলটিকে হামাস কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুক্তি দেবে। বন্দিদের প্রথম দলে একই পরিবারের ১৩ জন নারী ও শিশু থাকবে। কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের মধ্যে এই সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বন্দিদের নামের প্রথম তালিকা পাওয়ার পর তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি জানিয়েছেন, ইজরায়েলি কারাগারে আটক প্য়ালেস্তাইনি বন্দিদেরও শুক্রবার মুক্তি দেওয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আকাশ বা স্থল থেকে কোনও আক্রমণ ছাড়াই সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং নিরাপদ পরিবেশে বন্দিদের মুক্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য ড্রোন সরিয়ে আকাশ পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছিল।
যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাজা উপত্যকার নিকটবর্তী দুটি গ্রামে সাইরেন বাজিয়ে হামাস শাসিত ছিটমহল থেকে প্য়ালেস্তাইনিদের সম্ভাব্য রকেট হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দেয় ইজরায়েল। তবে রকেট হামলা হয়েছে কি না বা কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুদ্ধ বিরতির আগে কয়েক ঘন্টা ধরে লড়াই চলতে থাকে। হামাস শাসিত ছিট মহলের কর্মকর্তারা বলেছেন যে গাজার একটি হাসপাতাল বোমা হামলার লক্ষ্য বস্তুর মধ্যে রয়েছে। উভয় পক্ষই ইঙ্গিত দিয়েছে যে লড়াই পুনরায় শুরু হওয়ার আগে বিরতিটি অস্থায়ী হবে। প্য়ালেস্তাইনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার প্রায় ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু। তবে ইজরায়েলি বোমা বর্ষণের মুখে স্বাস্থ্য সেবা বিপর্যস্ত হওয়ায় তথ্য রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে।