নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গি সংগঠন হামাসের (Hamas) হানাদারির জেরে ইজরায়েল(Israel) ও প্যালেস্তাইনের র(Palestine) মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ বুধবার পঞ্চম দিনে পা দিল। অতিমধ্যেই সেই যুদ্ধে গাজা স্ট্রিপে(Gaza Strip) হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন ও ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতালগুলিতে কার্যত ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই দশা। তার মধ্যে এবার সেই হাসপাতালগুলিই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন(Hospitals Lost Electricity) হয়ে পড়তে শুরু করেছে। কেননা জ্বালানির অভাবে গাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি এদিন থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করেছে। কার্যত এদিন থেকেই গাজা কার্যত অন্ধাকারে ডুবে যেতে চলেছে। ইজরায়েল কার্যত গাজায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি আসার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে সেই অবরোধ তুলে নিতে বলা হলেও ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত তা তোলেনি।
সূত্রের দাবি, গাজার হাসপাতালগুলিতে এখন খুব কম করেও ১২ হাজার মানুষ ভর্তি রয়েছেন। এখন যদি সেই হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে অনেকেরই জীবন সংশয় দেখা দেবে। কিন্তু গাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি এদিন থেকেই কার্যত বসে যেতে চলেছে জ্বালানীর অভাবে। আর তাই হাসপাতালগুলিও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী যে কোনও যুদ্ধের সময়ে হাসপাতালগুলিতে আক্রমণের অভিমুখ করা হয় না। এবারেও তা করা হয়নি। কিন্তু ইজরায়েল যেভাবে গাজা স্ট্রিপে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আসার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তার জেরে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি স্তব্ধ হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের অভাবে গাজার হাসপাতালগুলিতেও জরুরি অবস্থার চিকিৎসার পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা অবস্থা যুদ্ধ না থামলে, শান্তি না ফিরলে গাজার বহু নিরপরাধ মানুষের কার্যত জীবন যেতে বসেছে।