আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলা জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের একান্তে বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ওই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আচমকাই কেন বৈঠক বাতিল করা হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সময়ের অভাবের কারণেই ওই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।
তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। গত দেড় বছর ধরে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কোনও ফোনালাপ হয়নি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তিন দিনের সফরে চিন গিয়েছিলেন। ওটাই কোনও ব্রিটিশ রাষ্ট্রপ্রধানের শেষ চিন সফর। মাঝে ২০২১ সালের মার্চ মাসে তাইওয়ানকে নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হওয়ার পরে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।
তাইওয়ান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনে আজ বুধবার বিকেলে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই বৈঠকে বসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও চিনের প্রেসিডেন্টের। ওই বৈঠকের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিলেন কূটনীতিবিদরা। কিন্তু আচমকাই কেন বৈঠক বাতিল করা হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র দাবি করেছে, বৈঠক বাতিল হওয়ার পিছনে অন্য কোনও জল্পনা নেই। আজকের বৈঠক বাতিল হলেও চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা কাটাতে চাইছেন ঋষি সুনাক।