নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দোহায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সরকারি সফরে গিয়েছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট । এবার কাতার বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হল জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে । শুধু একটাই সমস্যা। কাতারে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত লোথার ফ্রাইশলাডার উপস্থিত থাকলেও জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন না কোনো কাতারি সরকারি কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময়ের আগেই দোহায় অবতরণ করে জার্মান সামরিক বাহিনী বুন্ডেসভেয়ারের এয়ারবাস এ৩৫০ বিমানটি। তাই বিমানবন্দরে জার্মান প্রেসিডেন্টকে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় । জার্মান রাষ্ট্রপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আসেন কাতারের পররাষ্ট্রবিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান আল-মুরাইচাই। চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের প্রেক্ষিতে কাতারের ভূমিকা জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গিতে বেশ জটিল। কারণ কাতারেই হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাস।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রথমে চারদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে আরও দুইবার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই সময়কালে, ইজরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া প্যালেস্তানির সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ জনে। কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মুক্ত হওয়া ৩০ প্যালেস্তানির মধ্যে ১৪ জন নারী, অন্য ১৬ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে মুক্ত করে দেওয়া ১০ জন ইজরায়েলে পৌঁছেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ নারী, ৩ শিশু ও ১৮ বছরের এক তরুণ রয়েছেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। ইজরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু।