আন্তর্জাতিক ডেস্ক: Omicron আতঙ্কের মাঝে দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিনের আকাল। টিকা জোগাড় করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসন। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর বিবৃতি জারি করে ভ্যাকসিনের আকালের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা ডা. নিকোলাস ক্রিস্প জানিয়েছেন, ‘যাদের বয়স ১২ বছর, তাদের জন্য দেশে ভ্যাকসিন নেই। আমরা টিকা তৈরির সংস্থার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আশা করছি তারা এই ব্যাপারে সরকারের কাছে দ্রুত আবেদন জানাবে এবং সরকার টিকা তৈরির অনুমোদন দেবে। ভ্যাকসিন হাতে না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই।‘
ভ্যাকসিন সংকটে সরকার যেমন উদ্বিগ্ন, উদ্বিগ্ন সে দেশের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কমিউনিকেবল ডিজিস। সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্তা ডা. ওয়াসিলা জ্যাসাট জানিয়েছেন, দেশে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্টেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখনও পর্যন্ত করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিশু। বিশেষ করে যাদের বয়স পাঁচ বছর বা তাঁর কম। অন্যদিকে যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি, তাদের অনেকেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের শিকার। হাসপাতালে ইতোমধ্যে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০৫৫ জন। ডা. ওয়াসিলা জ্যাসাট জানিয়েছেন, সংক্রমণের গতি রোধ করার একটা রাস্তা- মাস্কের ব্যবহার, দূরত্ববিধি বজায় রাখা। সব ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলা। মানুষ যত বেশি নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখতে পারবে, তত কমবে সংক্রমণ।