নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক: ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ফের ধোঁয়াশা রাখল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় এক প্রস্তাব নিয়ে ভোটদানে বিরত রইলেন ভারতের প্রতিনিধি। ১৪৭টি দেশ ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। বিরোধিতা করেছে সাতটি দেশ। আর ভারত সহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। ইউক্রেনে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর জন্য রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নেওয়া প্রস্তাবে কেন ভোট দেওয়া হলো না, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে চাননি ভারতের প্রতিনিধি। তবে কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, ভারত নিজেদের অর্থনৈতিক মুনাফা দেখতে গিয়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার হিম্মৎ দেখাতে পারেনি।
আজ শুক্রবারই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আচমকাই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ পশ্চিমী শক্তিশালী দেশগুলি সরাসরি মস্কোর বিরোধিতা করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও সেই পথে হাঁটার সাহস দেখায়নি নয়াদিল্লি। বরং গত এক বছর ধরে ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়ে চলছে ভারত।
গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গলা চড়িয়ে জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লি সব সময় শান্তি ও আলোচনার মাধ্যমে সঙ্ঘাতের সমাধানের পক্ষপাতী। কেননা, বর্তমান শতাব্দী কোনও মতেই যুদ্ধের শতাব্দী নয়। অথচ ইউক্রেনে শান্তি ভঙ্গ নিয়ে আনা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার মতো সাহসই দেখাতে পারলেন না ভারতের প্রতিনিধি। রাশিয়া থেকে সস্তায় যাতে তেল কেনার পথ বন্ধ না হয়ে যায় তার জন্যই নয়াদিল্লির এমন দ্বিচারিতা বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।