এই মুহূর্তে




মোসাদের আরও এক ‘গুপ্তচরকে’ ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইরান-ইজরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তেজনার মধ্যে আবারও ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক গুপ্তচরকে ফাঁসিতে ঝোলালো ইরান। গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই মোহাম্মদ আমিন মাহদাভি শায়েস্তহকে ফাঁসি দিল ইরান। তাঁর বিরুদ্ধে মোসাদকে সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ আমিন মাহদাভি শায়েস্তহ ছিলেন মোসাদ সংশ্লিষ্ট একটি সাইবার টিমের প্রধান। তাঁকে ২০২৩ সালের শেষের দিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইরান-ইজরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার শুরুর পর থেকে ইরানি কর্তৃপক্ষ ইজরায়েলের জন্যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে। ১৬ জুন মোসাদেদ গুপ্তচর ইসমাইল ফকরিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান। এরপর ২২ জুন আরও একজনকে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইরানে বসবাস করে ইসমাইল ফকরি ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের দুই ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এবং তিনি ইরানের শত্রুদের কাছে দেশের সমস্ত গোপন এবং সংবেদনশীল তথ্য পাচার করতেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইরানি কর্তৃপক্ষ ফকরিকে গ্রেফতার করে ইরান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এরপরেই তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। উল্লেখ্য, ১৩ জুন শুক্রবার সকালে ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার-সহ একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। তারপরেই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেহরান। ইজরায়েলের চালানো হামলায় প্রাণ গিয়েছে ইরানের সেনাপ্রধানসহ অন্তত ২০ জন সামরিক কমান্ডার। বসে থাকেনি ইরানও। তারাও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ইরানে ইজরায়েল যে হামলা চালিয়েছে তার নামকরণ করেছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই বিষয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ঠেকানো দরকার।

তাই এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইরান যদি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে যায় তাহলে তা বিশ্বের জন্য তা বড় বিপদ হিসাবে গন্য হবে। এরপর থেকেই ইজরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছেই। ইরানের একাধিক বিমানঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ইরানের একের পর এক র‍্যাডার ও ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা। এদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আমেরিকা ও। শনিবার রাতে মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন ইরানের আকাশপথও বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। হামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে বিশ্বে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইজরায়ের ইরানের শত্রুতা বহু বছরের। তবে প্রথম থেকেই দুই দেশ কিন্তু শত্রু ছিল না। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের সময় দেদেশের পশ্চিমপন্থী নেতা মহম্মদ রেজা শাহ ক্ষমতাচ্যুত হন। তাঁর আমলে ইজরায়েল ইরানের বন্ধু হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তাঁর পর ক্ষমতায় আসা শাসকেরা ইজরায়েলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইয়েমেনে খুনের দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৬ জুলাই

নেপাল-চিন সীমান্তে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেল একের পর এক গাড়ি, নিখোঁজ অন্তত ১৮

সিরিয়ার তাহরির আল শামের উপর থেকে জঙ্গি তকমা প্রত্যাহার ট্রাম্প প্রশাসনের

৫৩ তম জন্মদিন, লন্ডনে স্ত্রী ডোনার সঙ্গে কেক কাটলেন সৌরভ

আমেরিকায় ছুটি কাটাতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু একই পরিবারের চারজনের

মৃত্যুপুরী টেক্সাস, ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ