এই মুহূর্তে




সর্বনাশের খবর, হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের সংসদ




আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। তিন পরমাণু ঘাঁটিতে মার্কিন সেনা হামলা চালাতেই জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রধান জলপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল ইরানি সংসদ। রবিবার (২২ জুন) সংসদের জরুরি অধিবেশনে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়। তবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে শুধু জ্বালানি সঙ্কটই দেখা দেবে না, জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

এদিন ভোরে আচমকাই তিন পরমাণু ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। ওই হামলার পরই ইজরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ঝাঁকে-ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে শুরু করেছে ইরান। ইজরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আয়রন ডোম ওই ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। সাইরেন না বাজায় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে তেল আভিভের একাংশ। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে একাধিক এলাকা। ইরানের হামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইজরায়েল’ জানিয়েছে, ‘কারমেল, হাইফা, তেল আভিভ ও ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলের ১০টি স্থানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তাতে আহত হয়েছেন শতাধিক। বেশির ভাগ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’

আমেরিকার হামলার পরেই ইজরায়েলে জোরদারভাবে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করল ইরান। তূণ থেকে বের করল মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার শেকান’। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘মেহের নিউজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) রবিবার (২২ জুন) প্রথমবারের মতো ইজরায়েলের দিকে অত্যাধুনিক ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। হাইফা এবং তেল আভিভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৩০টি ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরানের অস্ত্রভান্ডারে যে সব ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘খাইবার শেকান’। প্রায় সাড় পাঁচশো কেজি ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র ১,৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ছোট-ছোট স্প্লিন্টার। তা বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে।

ইজরায়েলের সঙ্গে সঙ্ঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর পরেই ইরান সংসদের জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে ইরানের প্রবীণ সাংসদ ইসমাইল কাওসারি বলেছেন, ‘মার্কিন আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার প্রতিক্রিয়ায় মজলিস (পার্লামেন্ট) বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাণিজ্যের প্রধান রুট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সুপ্রিম জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের হাতে।’ উল্লখ্য, পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী দিয়েই বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়। হরমুজ প্রণালীই একমাত্র সমুদ্রপথ যা ইরান, সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে প্রথম সপ্তাহেই তেলের দাম ৮০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিকল্প রুটগুলোতে প্রচুর খরচ হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইয়েমেনে খুনের দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৬ জুলাই

নেপাল-চিন সীমান্তে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেল একের পর এক গাড়ি, নিখোঁজ অন্তত ১৮

সিরিয়ার তাহরির আল শামের উপর থেকে জঙ্গি তকমা প্রত্যাহার ট্রাম্প প্রশাসনের

৫৩ তম জন্মদিন, লন্ডনে স্ত্রী ডোনার সঙ্গে কেক কাটলেন সৌরভ

আমেরিকায় ছুটি কাটাতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু একই পরিবারের চারজনের

মৃত্যুপুরী টেক্সাস, ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ