নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: দুনিয়া কাঁপানো ‘হ্যারি পটার’ ছবির অভিনেতা স্যার মাইকেল গামবন আর নেই। বৃহস্পতিবার লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। স্ত্রী লেডি গামবন ও একমাত্র ছেলে ফারগুস গামবন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহীকে রেখে গিয়েছেন। গামবনের মৃত্যুর খবরে শিল্পী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেও দর্শকদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ‘হ্যারি পটার; ছবির অধ্যাপক আলবাস ডাম্বেলডোরের চরিত্রে অভিনয় করা গামবন।
ডাবলিনে জন্ম মাইকেল গামবন ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। বড় হয়ে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। লন্ডনের বিখ্যাত রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। উইলিয়াম শেকসপিয়ারের রচিত একাধিক নাটকে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। থিয়েটারের পাশাপাশি রেডিও ও টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গেও। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চুটিয়ে অভিনয় করৈছিলেন। একাধিক ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় এখনও দর্শকদের চোখের সামনে ভাসে। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য চার বার বাফটা পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিলেন প্রয়াত গামবন।
অভিনেতা হিসেবে গোটা বিশ্বে তাঁকে পরিচিতি এনে দিয়েছিল জে কে রাউলিংয়ের অবিস্মরণীয় উপন্যাস ‘হ্যারি পটার’ নিয়ে নির্মিত ছবি। ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের আটটি ছবির ছয়টিতেই অধ্যাপক আলবাস ডাম্বেলডোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন গামবন। বিনোদন জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবীণ অভিনেতাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।