নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে ধর্ম বরাবরই সংবেদনশীল। ধর্মীয় অবমাননা কোনও মতেই সহ্য করতে পারেন না পাকিস্তানিরা। ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের এক নেতাকে সমাবেশস্থলেই পিটিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছিল বটে, কিন্তু উত্তেজিত জনতাকে নিরস্ত্র করতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সা্ওয়াল ডেরায়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই গণপ্রহারের ভিডিও।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নাজিব উর রেহমান জানিয়েছেন, শনিবার সাওয়াল ডেরার মারদান শহরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমারন খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের এক সভা ছিল। ওই সভায় প্রচুর ভিড় হয়েছিল। সভার শেষে প্রার্থনা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নিগার আলম নামে পিটিআইয়ের এক স্থানীয় নেতা। প্রার্থনা শেষ হওয়ার লগ্নেই হইচই করে ওঠেন সভায় উপস্থিত শ্রোতাদের একাংশ। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলেন নিগার আলমের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন ওই নেতা। কিন্তু লাভ হয়নি।
উত্তেজিত জনতা নিগার আলমকে পাকড়াও করে গণপিটুনি দিতে শুরু করে। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা পিটিআই নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। এমনকী গণপিটুনিতে মৃত্যু হওয়ার পরেও নিগারের মৃতদেহ উদ্ধারে বাঁধা দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে পিটিআইয়ের কোনও নেতা মুখ খুলতে চাননি। এক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, ১৯৮৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে গণপিটুনিতে ৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।