আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আবারও প্যালেস্টাইনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি নাকচ করেছেন । শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নয়, বরং ‘কৌশলগত বিরতি’ হতে পারে। এই যুদ্ধ ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘণ্টাখানেকের জন্য হতে পারে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী (Prime minister) । এই সময় গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন আটক ব্যক্তিরা। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করার পিছনে নেতানিয়াহুর দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ইজরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে।
তাই অব্যাহত থাকবে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যে যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই হামাসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ওপর ইজরায়েলর হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ লক্ষ মানুষ। ইজরায়েলের এই ভয়াবহ হামলায় ভেঙ্গে গিয়েছে গাজার স্কুল- কলেজ। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ১৮টি হামলা করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় ২৫২ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এখনো অনেকের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
এই পরিস্থিতে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা। শুধু তাই নয় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে হামাস (Hamas) গোষ্ঠীও। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ৯টি দেশ। সেই সকল দেশ হলো—বাহরাইন, বলিভিয়া, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্ক। এদের মধ্যে বলিভিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবুও ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী সামরিক বিরতির পক্ষে হলেও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিপক্ষে।