আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২২ বছর আগে দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ‘সালতো দে কাস্ত্রো’ গ্রামটি কিনেছিলেন স্পেনের ব্যবসায়ী রনি রদ্রিগেজ। নির্জন গ্রামটি ঘিরে অনেক পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু ইউরোপে মন্দা সহ একাধিক কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শখ করে কেনা গোটা গ্রামটিই বেচতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটেও বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। তবে ভিন চিত্রও রয়েছে। প্রায় ৩০০ আগ্রহী ক্রেতা ইতিমধ্যেই গ্রামটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পেনের মাদ্রিদ থেকে মাত্র গাড়িতে তিন ঘন্টা গেলেই পর্তুগাল সীমান্ত লাগোয়া জামোড়া প্রদেশে গেলেই দেখা মিলবে ছোট্ট গাঁ সালতো দে কাস্ত্রো। ৪৪টি বাড়ি, একটি হোটেল, একটি গির্জা, একটি স্কুল, একটি সুইমিং পুল এমনকি সিভিল গার্ডের জন্য জায়গাও রয়েছে। গত তিন দশক আগে গ্রামের বাসিন্দাদের সিংহভাগই শহরে চলে গিয়েছেন। ফলে ভুতুড়ে চেহারা নিয়েছে গ্রামটি। ২০০০ সালের শুরুতে রয়্যাল ইনভেস্ট নামে একটি সংস্থার মালিক রনি রদ্রিগেজ গ্রামটি কিনে নেন। কিন্তু আকর্ষণীয় গ্রামটিতে নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত গ্রামটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পর্তুগাল সীমান্ত লাগোয়া গ্রামটির দর হাঁকা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকার মতো। শখ করে কেনা গ্রাম বিক্রি করার কারণ জানাতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে রদ্রিগেজে বলেছেন, ‘আমি শহরে থাকি। ঠিকভাবে আর গ্রামটির দেখভাল করতে পারছি না। তাছাড়া যারা এক সময়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন, তাঁরাও ফিরে আসার আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই।’