নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: সময় যত এগোচ্ছে ততই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। মে মাসে ময়দা থেকে আটা, ডিম থেকে আলু-সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তুঙ্গে উঠেছে। পড়াশোনার বইপত্র থেকে শুরু করে দেশলাইয়ের বাক্সের মতো জিনিসের দামও প্রতিদিন চড়চড় করে বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩ শতাংশের মতো। মদ ও তামাকজাত পণ্যের জন্য খরচ বেড়েছে ১২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছরের মে থেকে চলতি বছরের মে মাসে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির গড় দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৯৭ শতাংশে। অর্থাৎ গত বছর মে মাসে যে জিনিস কিনতে খরচ হতো ১০০ টাকা, চলতি বছরের মে মাসে সেই জিনিসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৩৪ থেকে ৩৬ শতাংশে। কিন্তু সেই পূর্বাভাস খাটেনি। বরং পূর্বাভাসের তুলনায় গড় মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের তুলনায় দেশের গ্রামীণ এলাকায় জিনিসের দাম আরও বেড়েছে। শহরে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৫ দশমিক ০৯ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় সেই হার দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ১৮ শতাংশে।
মূলত দেশের বিভিন্ন প্রদেশে বিধ্বংসী বন্যা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির পিছনে মূল কারণ হিসেবে যুক্তি দেখিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। যদিও তা মানতে নারাজ অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, পাকিস্তানে জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির পিছনে প্রধান কারণ অর্থনৈতিক সঙ্কট। আইএমএফ-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।