নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দেশত্যাগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারিতে রাজি হল না ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, অযথা আদালতের মূল্যবান সময় নষ্টের জন্য আবেদনকারীকে এক লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (Islamabad High Court) প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ( Athar Minallah)। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ‘কথিত হুমকি চিঠি’ নিয়ে তদন্তের আবেদনটিও বাতিল করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে যথেষ্টই স্বস্তিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার রাতে পাক সংসদে অনাস্থা নিয়ে চরম নাটকীয়তার মধ্যেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেশত্যাগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৌলভী ইকবাল হায়দার নামে পাকিস্তান মুসলিম লিগের এক সমর্থক। ওই মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কী রায় দেয়, তার দিকেই নজর ছিল দেশের রাজনৈতিক মহলের। কেননা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল যেভাবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, তা নিয়ে আইনজীবী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অধিকাংশ আইনজীবী মনে করছেন, ওই রায়ের পিছনে প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।
এদিন অবশ্য ইমরানের দেশত্যাগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জির শুনানিতে আবেদনকারীকে তুলোধনা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ। রায় ঘোষণার সময় আবেদনকারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আপনি কেন আদালতের দ্বারস্থ হলেন?’ কেন রাজনীতি করছেন?’
জবাবে আবেদনকারী ইকবাল হায়দার বলেন, ‘প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে রাষ্ট্রদ্রোহের আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মোশাররফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’ এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে ইমরান খানের তুলনা করবেন না। ইমরান খান নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।’ এর পরেই আর্জি খারিজ করে আবেদনকারীকে ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেন প্রধান বিচারপতি।