আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দ্বিতীয় রাউন্ড ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বহুল আলোচিত এই নির্বাচনে দুই প্রার্থীর একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, অন্যজন বিরোধী ন্যাশনাল র্যালি দলের সদস্য লে পেন।
ভোট হচ্ছে জাতীয় সংসদের ৫৭৭টি আসনে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো এবং লে পেন-সহ মোট ছ হাজার জন এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লড়াই মূলত ম্যাক্রোঁ ও লে পেনের মধ্যে হলেও লড়াই আসলে ইইউপন্থি অথবা ইইউবিরোধী প্রেসিডেন্টের মধ্যে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, ম্যাক্রোঁ পরাজিত হলে ফ্রান্সের কাছে সেটা ভূমিকম্পের সামিল হবে। প্রথম রাউন্ডে যে সব প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পাবেন, দ্বিতীয় রাউন্ডে লডা়ই হবে তাদের মধ্যে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি জনমত সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জনপ্রিয়তার নিরিখে লে পেনের থেকে কিছুটা এগিয়ে ম্যাক্রোঁ। ভোটের বাক্সে সেই জনমতের প্রতিফল না ঘটলে পরিস্থিতিতি যে ঘুরে যাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, জনমত সমীক্ষা বলছে, এবার ম্যাক্রোঁ খুব সহজে জিততে পারবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লে পেন তাঁকে প্রবল বেগ দেবেন।
জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে একেবারেই হাল্কা চোখে দেখতে নারাজ।দেশবাসীকে তিনি সতর্ক করতে গিয়ে বলেন, লে পেন নির্বাচিত হলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পেন বলেন, দেশবাসীকে বেছে নিতে হবে ম্যাক্রোঁ না ফ্রান্স।
আরও পড়ুন ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ