নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমসিংহে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই শপথ নিচ্ছেন ইউএনপি দলের সুপ্রিমো। অতীতে চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। বুধবারই রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সেই ঘোষণার খানিকবাদেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। আর সেই বৈঠকের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দেশকে অন্ধকারের পথ থেকে আলোর রাস্তায় নিয়ে যেতে দুঁদে রাজনীতিবিদকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দেশজুড়ে চলা সরকার বিরোধী আন্দোলনের জেরে গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। যদিও তাতে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বরং দেশজুড়ে আন্দোলন আরও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশজুড়ে কার্ফু জারি করেও আন্দোলনকারীদের দমানো যাচ্ছে না। ভাঙচুর ও সম্পত্তি হানি রুখতে দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার আদেশ দেওযা হয়েছিল বলে খবর রটেছিল। যদিও তা অস্বীকার করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান।
আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কাকে সঙ্কট থেকে উত্তরণের দায়িত্ব যাঁর কাঁধে বর্তাচ্ছে সেই ৭৩ বছর বয়সী রনিল বিক্রম সিংহে অতীতে চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার সামলেছিলেন। ১৯৯৩ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এক বছরের মতো ক্ষমতায় ছিলেন। পরে ২০০১ থেকে ২০০৪, ২০১৫ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বভারও পালন করেছিলেন। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমসিংহে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।