নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রসঙ্গ ইউক্রেন সংকট। আর এই সংকটের থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে একের পর এক দেশ আস্থা রাখছে ভারতের ওপরই। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এদিন ভারতীয় সময় সকাল ৬টার সময়ে রাশিয়া প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে জানান যে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান করতে চলেছে রুশ সেনা। তিনি তৎক্ষণাৎ রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ছোঁড়ার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়েছেন, কোনও দেশ যদি এই মুহূর্তে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মাঝে আসে তাহলে তাকেও চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। যদিও এরপরেও বৃহস্পতিবার রাশিয়া প্রধানের সঙ্গে ফোনে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনে হামলা হানার পরপরই ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন তিনি যেন এই পরিস্থিতিতে একটিবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। সেই ডাকেই সাড়া দিয়েছেন মোদি। কিন্তু জানা যাচ্ছে ভারতের এই অবস্থানে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা। আমেরিকার কেয়াংস মনে করছে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট নয় নয়। যদিও মনে করা হচ্ছে যে এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ভারত। আর তাই খুব শীঘ্রই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর এমনই।
জানা যাচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমরা ভারতের সাথে (ইউক্রেন সংকট নিয়ে) পরামর্শ করতে যাচ্ছি। আমরা এখনও এটা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করতে পারিনি।’ পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে যে, হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে বিডেন প্রশাসন ইউক্রেনের এই সংকটে পূর্ণ সমর্থন চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতীয় সমকক্ষদের কাছে পৌঁছেছে। তবে আমেরিকা সরকারের উর্দ্ধতন কর্তাদের একাংশের দাবি, ইউক্রেন প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থানে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ আমেরিকা প্রশাসনের একাংশ। তাদের দাবি এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক চাল চালছে ভারত। ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক যে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ সেটা সকলেরই জানা, আর তাই এই পরিস্থিতিতে ভারত যে রাশিয়ার দিকেই ঝুঁকবে সেই আস্কা করেই ভারতের সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা।
পর্দার আড়ালে, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ভারতীয় সমকক্ষদের সর্বশেষ ভারতীয় অবস্থানে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ভারত তার নিজস্ব কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রেখেছে, এমনটাই মনে করছে আমেরিকার একাংশ। এমতাবস্থায় ভারত এবং আমেরিকার মধ্যেকার বৈঠকের পরিণতি ঠিক কি হয় এখন সেটাই দেখার।