আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কথায় বলে স্বভাব যায় না ম’লে। দেশের অর্ধেক মানুষ যখন অভুক্ত, অর্থাভাবে মানুষ ভিক্ষাপাত্র হাতে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন, তখন ক্ষমতার অপব্যবহারে মত্ত হয়ে উঠেছেন তালিবানরা (Taliban)। কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন তালিবানরা, তার সর্বশেষ উদাহরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নববিবাহিতা স্ত্রীকে সেনাবাহিনীর (Army) হেলিকপ্টারে (Helicopter) চেপে বাড়ি নিয়ে এসেছেন এক তালিবান কমান্ডার (Taliban Commander)। ওই কুকীর্তি যার তিনি কুখ্যাত হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Hakkani Network) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। যদিও তালিবানদের অন্যতম মুখপাত্র ইউসুফ আহামদি (Qari Yusuf Ahmadi) দাবি করেছেন, ‘ওই কমান্ডারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপপ্রচারের উদ্দেশেই ওই ভিডিয়ো তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘খাম্মা প্রেস’(Khamma Press)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার লোগার প্রদেশের (Logar Province) বারকি বারাক জেলার (Barki Barak District) শাহ মাজারে বিয়ে করতে যান হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত ওই তালিবান কমান্ডার। নবপরিণীতা বধূকে বাড়িতে আনতে নিয়ে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর একটি চপার। বিয়ের পর লোগার প্রদেশ থেকে খোস্তে নিযে আসেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের জন্য পণ হিসেবে (মুসলিম মতে দেনমোহর) ১২ লক্ষ আফগানি রুপিও দিয়েছেন শ্বশুরকে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে মাস দুয়েক আগেই তালিবানদের একাধিক বিয়ে না করা এবং প্রচুর পরিমাণ দেনমোহর না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংগঠনের প্রধান আখুন্দজাদা।
অথচ সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে বিপুল টাকা দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করা এবং বউকে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য সেনা হেলিকপ্টার ব্যবহারের ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ আফগান নাগরিকরা। তবে ঘটনার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত কমান্ডারের পাশেই দাঁরিয়েছেন তালিবানের উপ মুখপাত্র ইউসুফ আহামদি।