নিজস্ব প্রতিনিধি: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে গরহাজির থাকতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবারই সূত্র মারফত একথা জানা গিয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করেছিলেন তিনি যোগ দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আয়োজিত এই সম্মেলনে একাধিক বিশ্বনেতা যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এদিকে বাইডেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।
এদিকে, এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) দক্ষিণ এশিয়া উদ্যোগের পরিচালক ফারওয়া আমের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শির ভারতে G20 শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়াকে প্রমাণ হিসাবে দেখা যেতে পারে। এই সময়ে চিন কেন্দ্রের মঞ্চ ছাড়তে নারাজ। রাষ্ট্রপতি শির ভারতে আয়োজিত G20 শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি বহুমুখী প্রভাব ফেলতে পারে। প্রসঙ্গত, চিন-ভারতের কেন্দ্রের মঞ্চ। এটি এই অঞ্চলে ক্ষমতার সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে। তার প্রভাবশালী ভূমিকা এবং প্রভাব বজায় রাখার জন্য চিনের অভিপ্রায়ের উপর জোর দেয় বলে দাবি আমেরের।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট শির অনুপস্থিতি প্রমাণ করে, সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য টেকসই এবং জটিল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। তিনি আরও বলেন, আলোচনা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। হিমালয় অঞ্চলের বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের কৌশলগত প্রতিযোগিতা রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে চীন-ভারত সম্পর্ক ক্রমে জটিল হচ্ছে। সীমান্ত সমস্যাগুলি ঐতিহাসিক বিরোধ, জাতীয় গর্ব এবং কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, G20 শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত ফলাফল ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে কতটা প্রভাবিত করে, এখন সেটাই দেখার।