নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: গাজায় ইজরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করে পদ খোয়ালেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রাভার্মান। সোমবার তাঁকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সুয়েল্লার জায়গায় ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে জেমস ক্লেভারলিকে।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েলি জল্লাদ বাহিনী। ওই গণহত্যায় প্রথম থেকেই ইন্ধন জোগাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। গত ১১ নভেম্বর গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে লন্ডনে মিছিল করেছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ। মিছিলকারীরা প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনিপন্থীদের ওই মিছিলকে ‘ঘৃণার সমাবেশ’ আখ্যা দিয়ে লন্ডন পুলিশের সমালোচনা করেছিলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্র্যাভার্মান। প্রথমে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ইজরায়েলি হত্যাযজ্ঞের মদতদাতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
কিন্তু সুয়েল্লার মন্তব্য নিয়ে ব্রিটেনজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই ডিগবাজি খান সুনক। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, সুয়েল্লার মন্তব্যকে সমর্থন করেন না সুনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সুয়েল্লাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মন্ত্রিসভায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানেননি সুয়েল্লা। শেষ পর্যন্ত নিজের গদি বাঁচাতে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন সুনক।’ এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালেও বিতর্কিত কাজকর্মের দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল সুয়েল্লাকে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ‘নৈতিক অধঃপতনের’ কারণে সরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুয়েল্লাকে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ফেরান সুনক।