আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাইওয়ানকে মোটা টাকার অস্ত্র সাহায্য দিতে চলেছে আমেরিকা। প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। অস্ত্র সাহায্যের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার।
এই অস্ত্র সাহায্যের ব্যাপারে পেন্টাগনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ান পেতে চলেছে ৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম। এর সাহায্যে চিনের লাল সেনার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে তাইওয়ান। ফলে, খুব সহজেই তা ধ্বংস করা সহজ হবে। এছাড়া তাইওয়ান পেতে চলেছে ৩৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-সিক্সটিন থেকে যা ব্যবহার করা সম্ভব। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরে পরেই তারা এই বিশাল পরিমাণ অস্ত্র সাহায্যে পেতে চলেছে। তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের দফতর অস্ত্রসাহায্যের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, সে দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার তরফ থেকে এই অস্ত্র সাহায্য।
তাইওয়ানের দাবি, তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন পাঁচটি চিনা যুদ্ধজাহাজ এবং ২১টি যুদ্ধবিমানের গতিবিধি তাদের নজরে রয়েছে। ফলে তাইওয়ান প্রণালী এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের যাতায়াতও কমেছে। এই অর্থ সাহায্যের প্রতিবাদে সরব চিন। আমেরিকায় চিনের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র সাহায্যে ভুল বার্তা যাবে। পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলবে চিন-মার্কিন সম্পর্কে। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, তাইওয়ান উপকূলের পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ-মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা। ‘অপারেশন ওরিয়েন্ট শিল্ড’ নামে এই যুদ্ধ মহড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে স্থলসেনার বিশেষ এয়ারবোর্ন ডিভিশন এবং আর্টিলারি ব্রিগেড।