নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শতাব্দীর ইতিহাসে এক বিষাদময় অধ্যায়। এবার এই প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। ইউক্রেনকে উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। এমনটাই খবর মার্কিন গণমাধ্যম সূত্রে।
ইউক্রেনকে সহায়তায় এটিএসিএমএস(ATACMS) ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। যার রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল)। এই ক্ষেপণাস্ত্র খুব সহজেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। রাশিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যে আরও নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম হবে কিয়েভ। গত শুক্রবার রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এর মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
রাশিয়ার সেভাস্তোপলে এই হামলা চালাতে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিটেন ও ফ্রান্স কিয়েভকে সরবরাহ করেছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১৫০ মাইলেরও বেশি। এরপরেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার পর একজন সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেভাস্তপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, শত্রুরা ক্ষেপণাস্ত্র নৌবহরের সদর দপ্তরে আঘাত হেনেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকার জন্যও অনুরোধ জানান গভর্নর। পাশাপাশি নৌ সদর দপ্তরের কাছে থাকা মানুষদের সাইরেনের শব্দ শুনলেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এই চলমান সংঘর্ষের পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের।