আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আলজাজিরার সাংবাদিক আবু আকলেহর অন্ত্যেষ্টিতে ইজরায়েলি পুলিশের জুলুমবাজি নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, কোনওভাবেই এই ঘটনা সমর্থন করা যায় না। মার্কিন বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, ‘প্রত্য়েক পরিবারের অধিকার রয়েছে তাদের কোনও সদস্যের শেষকৃত্য শ্রদ্ধার সঙ্গে তা সম্পন্ন করা। কিন্তু সিরিন আবু আকলেহর অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া ইজরায়েলি পুলিশ যেভাবে বাধা দিয়েছে তা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না।’ ব্লিনকেন এও বলেছেন, তারা ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের নিযুক্ত মার্কিন প্রশাসনের পদস্থকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছন। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মর্মন্তদ ঘটনা। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আলজাজিরার সাংবাদিক সিরিন আবু আকলের শেষযাত্রায় সামিলদের হাতে ছিল প্যালেস্তাইনের পতাকা। তারা এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দায় স্লোগান দিতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর মারমুখী হয়ে ওঠে। শুরু করে লাঠিচার্জ। সাংবাদিকদের কফিনবন্দি দেহ যাদের কাঁধে ছিল, পুলিশের লাঠিচার্জে তারা মাটিতে পড়ে গেলে কফিনও মাটিতে পড়ে যায়। সেই কফিনের ওপর পুলিশ লাথি মারে। শবযাত্রায় সামিলদের হাতে ছিল প্যালেস্তাইনের জাতীয় পতাকা। পুলিশ তাদের হাত থেকে পতাকা কেড়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে। পাশাপাশি শুর হয় তাদের ওপর শারীরকি নির্যাতন।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতোমধ্যে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে ইজরায়েলের বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেন্নেট জানিয়েছে, সশস্ত্র প্যালেস্তাইন পুলিশ গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছে আলজাজারির সাংবাদিক। অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি, এই সাংবাদিক তাদের টার্গেট ছিল না। অভিযান চলাকালীন ওই সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এনকাউন্টারের মাঝে পড়ে যাওয়ায় তাঁর গুলি লাগে।
আরও পড়ুন লঙ্কায় লঙ্কাকাণ্ড, নৌসেনা ঘাঁটি ঘিরে ফেলল জনতা, ভয়ে কাঁপছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে