আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা ছিল মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনা করছে । তাই এড়াতে বলা হয়েছিল বড় জমায়েত। মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
এই নির্দেশিকার পরেই মস্কোয় ঘটল সন্ত্রাসী হামলা। আর এই হামলার জেরে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জন এবং ১০০ জন জখম হয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, মস্কোর কনসার্ট হলে জঙ্গিদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬০ এবং আহত হয়েছেন ১০০ জন। তবে কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তা এখন জানা যায়নি। এই পুরো হামলার ঘটনা নিয়ে মস্কো সরকার তদন্ত শুরু করেছে।
রুশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী মস্কোর অদূরে ক্রকাস সিটি হলে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর জংলা পোশাক পরে হানা দেয় পাঁচ জঙ্গি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা ছুড়তে শুরু করে দেয়। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছেয়ে যায় গোটা হলজুড়ে। বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমাবাজির পরে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। ওই গুলির বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেকেই প্রাণভয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন। কেউ-কেউ হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রাণ নিয়ে অনেকেই পালাতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে চলে ওই হামলা। বন্দুকবাজদের হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসা দাঙ্গারোধী পুলিশ বাহিনী। পুরো এলাকা ঘিরে ধরে।
উল্লেখ্য মস্কোতে এই হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের কোন যোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনেস্কির এক ঘনিষ্ঠ । তবে আশ্চর্যের বিষয় হল মস্কো এখন পর্যন্ত এই হামলার সঙ্গে যে ইউক্রেন যুক্ত রয়েছে তা এখন বলেনি। তবে কেন আচমকাই ইউক্রেন আগে আগ বাড়িয়ে জানাল তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।