নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: কংগ্রেস-সহ ভারতের বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগকেই মান্যতা দিলেন জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক দোরজি। সোমবার একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ‘কৃষক আন্দোলনের সময়ে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে টুইটার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনকী সংস্থার কর্মীদের বাড়িতেও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে দিয়ে তল্লাশি চালানোর ভয় দেখানো হয়েছিল।’ যদিও টুইটারের প্রাক্তন সিইও’র অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, টুইটার, ফেসবুক-সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলিকে ভয় দেখিয়ে সরকার বিরোধী টুইট ও পোস্ট মুছে দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ করছে মোদি সরকার। উল্টে গেরুয়া শিবিরের ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলি। সোমবার ইউটিউব চ্যানেল ‘ব্রেকিং পয়েন্ট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছেন ২০২১ সালে টুইটারের সিইও’র পদ থেকে সরে দাঁড়ানো জ্যাক দোরজি।
সংস্থা চালাতে গিয়ে কোনও দেশের সরকারের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শুরুতেই ভারতের উদাহরণ টানেন টুইটারের প্রাক্তন সিইও। তাঁর কথায়, ‘ভারতে কৃষক আন্দোলনের সময়ে প্রচুর চাপ এসেছিল। বহু সাংবাদিক যারা সরকার বিরোধী, তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। না হলে অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে, কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে বলে একাধিক হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বাস করতে পারেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের হুমকি পেতে হয়েছিল।’ শুধু ভারত নয়,তুরস্ক ও নাইজেরিয়াতেও বেশ চাপের মুখে কাজ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুইটারের প্রাক্তন সিইও।