নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরের মাঠে রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারাল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নাইটদের হয়ে শতরান করলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাঁর শতরান কোনও কাজেই লাগল না। মুুম্বইয়ের হয়ে অর্ধ্বশতরান করেন ইষাণ কিষাণ। প্রথমে ব্যাট করে নাইটরা ১৮৬ রানের টার্গেট দেয় মুম্বইকে। মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন রোহিতরা। এই ম্যাচে জয়ের ফলে মুম্বই দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল।
রবিবার নাইটদের বিপক্ষে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই দলনেতা। মুম্বই বোলিং-এর সামনে শুরুতেই আত্মসমর্পণ নাইট ব্যাটার গুরবাজের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শূণ্য করা গুরবাজ মুম্বইয়ানদের বিরুদ্ধে আউট হলে্ন মাত্র ৮ রান করে। অপর ব্যাটার জাগদেশন তো কোনও রানই পেলেন না।
দলের কঠিন সময়ে জ্বলে উঠলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। একার কাঁধেই দলকে টানতে লাগলেন এই নাইট ব্যাটার। এবং চলতি আইপিএল-এর আসরে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এবং প্রথম নাইট খেলোয়াড় হিসেবে শতরান পূর্ণ করলেন ভেঙ্কি। মাত্র ৫১ বল খেলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংসের মধ্যে ছিল ৯টি ৬ এবং ৪টি চার।
ভেঙ্কির পর বাকি ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ২১ রান রাসেলের। ১১ বল খেলে এই রান করেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারটি। আর বাকি নাইট ব্যাটসম্যানরা এদিন সেইভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না। সেই তালিকায় রয়েছেন দলনেতা নীতিশ রানা, এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা রিঙ্কু সিং। নীতিশ ৫ এবং রিঙ্কু করলেন ১৮ রান। এই দুজন যদি আর একটু বেশি রান করতে পারতেন তাহলেই মুম্বইকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করাতে পারতেন নাইটরা।
মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নিলেন সকেন। পীযূশ চাওলা, জানসেন, গ্রিনরা পেলেন একটি করে উইকেট।
১৮৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুম্বই-এর দুই ব্যাটসম্যান রোহিত ও ইষাণ শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। রোহিত যখন ক্রিজে প্রায় সেট হতে যাচ্ছেন ঠিক তখনই তাঁকে সাজঘরের পথ দেখালেন সূয়স। রোহিত আউট হওয়ার পর ইষাণ-এর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সূর্যকুমার যাদব। সূর্য রবিবার ব্যাট হাতে আইপিএল-এ নতুনভাবে উদিত হলেন। আগের প্রতিটি ম্যাচে যার পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র, সেই সূর্যকান্তই রবিবার নাইটদের বিপক্ষে করলেন ৪৩ রান। ইষাণের ব্যাট থেকে এল মূল্যবান ৫৮ রানের ঝাঁ চকচকে একটি ইনিংস।
মূলত এই দুই ব্যাটারই মুম্বই-এর জয়ের রাস্তা অনেকটাই সহজ করে দেন। বাকি কাজটা করে দেন তিলক ভার্মা ও ডাভিড মিলে। নাইটদের হয়ে সুয়স শর্মা ছাড়া আর কেউ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না। মুম্বইয়ের কাছে হেরে পর পর দুটি ম্যাচে হারের মুখ দেখল কলকাতা নাইট রাইডার্স।