নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্ধারিত দিনেই হচ্ছে চার পুরনিগমের ভোট। চন্দননগর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোল এই চার পুরসভার ভোট করোনা কাঁটাতেও পিছোচ্ছে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে চার পুরসভার ভোট নিয়ে আলোচনায় বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই বৈঠকেই স্থির হয় নির্ধারিত দিনেই হবে চার পুরসভার ভোট। তবে একগুচ্ছ নির্দেশিকা ও বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে পুরভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে।
সোমবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগমের সঙ্গে চার পুরসভার ভোট নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, খোলা জায়গায় ৫০০ জন ও প্রচারে ২০০ জনের বেশি কর্মী বা সমর্থক রাখতে পারবেন না কোনও প্রার্থী। ৩ তারিখ অর্থাৎ সোমবার চার পুরভোটে প্রার্থীপদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিকে চার পুরভোটকে কেন্দ্র করা প্রচার শুরু হয়েছে, তাই ভোট বন্ধ করার পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ভোট হবে নির্ধারিত দিনেই। কিন্তু জারি হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলই কোনও রোড শো, বাইক র্যালি ও সাইকেল র্যালি করতে পারবে না। প্রত্যেক পুরসভায় একজন করে নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। পোলিং এজেন্ট ও কাউন্টিং এজেন্ট যারা হবেন তাদের প্রত্যেকের একটি করে করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। চার পুরসভার ভোটের ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। খোলা মাঠে ৫০০ লোক নিয়ে সভা করতে পারবে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল। তবে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মোট আসনের ৫০ শতাংশের কম কর্মী কিংবা সমর্থক নিয়ে সভা করবে রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীরা।
পুরভোটে প্রচারের জন্য সময়সীমাতেও লাগাম টেনেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এবার থেকে পুরভোটে প্রচারের সময় সীমা সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত করা হয়েছে। কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, প্রচারের জন্য আগাম করা সমস্ত আর্জি বাতিল করতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। শেষ ঘন্টায় করোনা রোগীদের ভোটদানের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঁচজনের বেশি কর্মী বা সমর্থক রাখতে পারবেন না পুর প্রার্থীরা।